গত বছর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল না করার জন্য ১,৮০,০০০ জনেরও বেশি লোককে জরিমানা করা হয়েছে, যদিও এদের বেশিরভাগই স্বল্প আয়ের লোক যাদের আয় ট্যাক্সের অর্থ প্রদানের অনেক নীচে।
এইমএম রেভিনিও জানায়, প্রত্যেক নাগরিককে নির্দিষ্ট সময়ের সীমারেখা বেঁধে দেয় ফর্ম ফিলাপ ও তথ্য প্রদানের জন্য। সময়মতো তথ্য প্রদানের ব্যর্থতার জন্য এই জরিমানার ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানায়।
এই আর্থিক জরিমানার শিকার ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে গুরুতর আর্থিক অসুবিধায় রয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। অনেক ব্যক্তিই হাজার হাজার পাউন্ড জরিমানার মুখোমুখি হয়েছেন, যা তাদের পরিশোধ করতে বহু বছর সময় লাগবে বলেও জানা যায়।
চিচেস্টারের ৬১ বছর বয়সী ডায়ানা ক্যাব্রাল জানান, স্ব-মূল্যায়ন করার ফর্মটি পূরণ না করার জন্য তাকে ১০০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল। যদিও তার বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর প্রদান করেছিল তার চাকুরী করা প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন,” আমি ভেবেছিলাম এটি একটি ভুল তাই আমি এইচএম রেভিনিওয়ের নোটিশটি উপেক্ষা করেছিলাম। জরিমানা দেওয়ার জন্য আমার কোনও সঞ্চয় নেই। আমাকে মাসে ২০ পাউন্ড দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি করতে হয়েছে।”
তথ্যানুযায়ী যুক্তরাজ্যের ৩২ মিলিয়ন করদাতাদের বেশিরভাগেরই ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে, প্রায় ১১ মিলিয়ন লোককে “স্ব মূল্যায়ন” আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়।
এইচএমআরসি দ্বারা প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যায় প্রায় ৯২০০০ লোককে ২০২০-২১-এ তাদের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলে দেরি করার জন্য জরিমানা করা হয়েছিল।
তথ্যমতে যদি এইচএমআরসির দেয়া সময়ের ভিতরে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া না হয় তাহলে ১০০ পাউন্ড জরিমানা ধার্য করা হয়। এরপর হতে প্রতিদিন ১০ পাউন্ড করে জরিমানা বাড়তে থাকে। ছয় মাস পরে, ৬০০ পাউন্ড অতিরিক্ত জরিমানা যোগ হয়। ১২ মাস পরে আরও ৬০০ পাউন্ড জরিমানা যোগ হয়।
ট্যাক্স প্রচারক এবং টিপিএর প্রতিষ্ঠাতা ড্যান নাইডল বলেন, “ আমরা বিশ্বাস করি আইন এবং এইচএমআরসি অনুশীলনের পরিবর্তন হওয়া উচিত। দেরিতে ফাইল জমা দেওয়ার জন্য জরিমানা প্রদান কোনো ভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।”
এম.কে
২৭ জুন ২০২৩