থেমস ওয়াটার কোম্পানি ঘোষণা করেছে যে, আগামী ২২ জুলাই থেকে গ্লোসেস্টারশায়ার, অক্সফোর্ডশায়ার, বার্কশায়ার এবং উইল্টশায়ার এলাকাজুড়ে হোসপাইপ ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। এতে প্রভাব পড়বে অন্তত ১১ লাখ মানুষের ওপর।
পানি সংকটের কারণ হিসেবে কোম্পানিটি উল্লেখ করেছে, সাম্প্রতিক সময়ের গরম আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জলাধারে পানি রিচার্জ হচ্ছে না। তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে গ্রাহকদের পানি ব্যবহারের হার প্রায় ৩০% পর্যন্ত বেড়ে যায়।
নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, বাগানে পানি দেওয়া, গাড়ি ধোয়া বা প্যাডলিং পুল ভরার মতো কাজে হোসপাইপ ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ১,০০০ পাউন্ড জরিমানা গুনতে হতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে OX, GL, SN, RG4, RG8 ও RG9 পোস্টকোড এলাকাগুলোর জন্য। তবে যেসব ব্যবসা হোসপাইপ ব্যবহার করে দৈনন্দিন সেবা প্রদান করে, যেমন নার্সারি বা কার ওয়াশ, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
থেমস ওয়াটারের জলসম্পদ পরিচালক নেভিল মানকাস্টার বলেন, “এই গ্রীষ্মে আমরা ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছি। প্রতিদিন পানির ব্যবহার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এবং বৃষ্টির ঘাটতিতে স্থানীয় সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়েছে।”
তিনি সব গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন — পানির ব্যবহার কমাতে, দাঁত ব্রাশের সময় কল বন্ধ রাখা, সংক্ষিপ্ত সময়ে গোসল করা এবং ঘাসে পানি না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
জিএমবি জাতীয় কর্মকর্তা গ্যারি কার্টার বলেন, “যেখানে অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত, সেখানে বিনিয়োগ নেই — সেই অবস্থায় সাধারণ মানুষের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া ন্যায্য নয়।”
তবে থেমস ওয়াটারের বার্ষিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম পরিমাণ পানি অপচয়ের রেকর্ড করেছে। জিএমবির সমালোচনার জবাবে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে আরও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
১৪ জুলাই ২০২৫