আর্থিক সংকটের জেরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রসাধন প্রতিষ্ঠান দ্য বডি শপ। একই সঙ্গে কানাডায় সীমিত করেছে পরিষেবা। সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক ডজন স্টোর।
সম্প্রতি দেউলিয়াত্বের আবেদন করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রসাধনী কোম্পানিটি জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে দেশটির স্টোরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কানাডায় ১০৫টি স্টোরের মধ্যে বন্ধের প্রক্রিয়া হিসেবে ৩৩টির মজুদে থাকা অবশিষ্ট পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে। এছাড়া এখন থেকে কানাডার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে বডি শপের কোনো পণ্য পাওয়া যাবে না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে খুচরা বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে দ্য বডি শপের মতো প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানগুলো যথেষ্ট ক্রেতা হারিয়েছে।
মধ্যবিত্তদের টার্গেট করে পণ্য তৈরি করে আসছিল দ্য বডি শপ। প্রাকৃতিক, টেকসই ও নৈতিক মানদণ্ড সামনে রেখে পণ্য বাজারজাত করে পরিচিতি পায় ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি। এর প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার ও পরিবেশকর্মী অনিতা রডিক। দ্য বডি শপ প্রথমদিকের সেসব কোম্পানির একটি, যারা প্রাণীর ওপর পণ্য ট্রায়াল নিষিদ্ধ করেছিল। স্বচ্ছতা ও পরিবেশগত সচেতনতার মানদণ্ডে উন্নীত হওয়ায় ২০১৯ সালে ‘বি কর্প’ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায় দ্য বডি শপ।
২০২৩ সাল পর্যন্ত ৮০টিরও বেশি দেশে আড়াই হাজারের বেশি খুচরা বিক্রির দোকান প্রতিষ্ঠা করে দ্য বডি শপ। এছাড়া ৬০টিরও বেশি বাজারে অনলাইন-ভিত্তিক স্টোর পরিচালনা করে। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক ব্যবসায়ও মনোযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানটির।
২০০০ সালের পর থেকে দ্য বডি শপের মালিকানা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়। ২০০৬ সালে প্রসাধনী জায়ান্ট লরিয়েল ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি দামে কিনে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ২০১৭ সালে ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি ন্যাচুরার কাছে কয়েক বিলিয়ন ডলারে এর হস্তান্তর হয়।
এ ব্র্যান্ডের অধীনে ত্বক, মুখ ও চুলের যত্নে প্রসাধনী তৈরি করা হয়। এছাড়া উৎপাদন করে পারফিউম ও গৃহস্থালি কিছু পণ্য। সংস্থার দাবি, তাদের পণ্যগুলো বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি।
সূত্রঃ সিএনএন
এম.কে
১২ মার্চ ২০২৪