TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে ধর্মঘটে যাচ্ছে বর্ডার ফোর্স কর্মকর্তারাঃ টহল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

চ্যানেল অভিবাসন সংকটের মধ্যেই বর্ডার ফোর্সের মেরিটাইম কর্মকর্তারা ধর্মঘটে যাচ্ছেন। পাবলিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ইউনিয়ন (PCS)-এর সদস্য এই কর্মকর্তারা ১৪ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। বেতন ও কর্মপরিবেশে বৈষম্য, ভাতা স্থগিত থাকা এবং দীর্ঘদিনের অনিষ্পন্ন চুক্তি পরিবর্তনের প্রতিবাদেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই ধর্মঘটে অংশ নেবেন প্রায় ১২০ জন বর্ডার ফোর্স মেরিটাইম কর্মী, যারা যুক্তরাজ্যের জলসীমায় টহল ও নজরদারির দায়িত্বে আছেন। তারা চোরাচালান, অননুমোদিত প্রবেশ, ছোট নৌকা পারাপার, সন্ত্রাসবিরোধী ও মাদকবিরোধী অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। ইউনিয়ন বলেছে, “তাদের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ, জটিল ও মানসিকভাবে ক্লান্তিকর, অথচ সেই অনুযায়ী পারিশ্রমিক ও সুবিধা তারা পাচ্ছেন না।”

এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭,০০০ অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। এই পরিস্থিতিতে টহলদারদের ধর্মঘট শুরু হলে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবিক সাড়া প্রদান কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

PCS ইউনিয়নের মহাসচিব ফ্রান হিথকোট বলেন, “আমাদের নিবেদিত সদস্যরা অনেক দিন ধরে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ন্যায্য স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত। হোম অফিস বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। এই ধর্মঘট সরকারের প্রতি স্পষ্ট বার্তা—আমরা আর বিলম্ব বা অর্ধেক পদক্ষেপ মেনে নেব না।” তিনি সতর্ক করেন, প্রয়োজন হলে ইউনিয়ন আরও কঠোর আন্দোলনে যাবে।

অন্যদিকে, হোম অফিস জানিয়েছে যে তারা সীমান্ত নিরাপত্তায় কোনো শিথিলতা আনবে না। দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “বর্ডার ফোর্স প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের সীমান্ত রক্ষা করছে। সম্ভাব্য যেকোনো ব্যাঘাত মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত পরিকল্পনা রয়েছে এবং তা অপরিবর্তিত থাকবে।”

ইউনিয়নের অভিযোগ, একই দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ভাতা ও বেতনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। ছয় বছর আগে হোম অফিস কর্মীদের শর্ত ও ভাতা সমন্বয়ের উদ্যোগ নিলেও এখনও কোনো চূড়ান্ত সমাধান আসেনি। দীর্ঘ আলোচনার পরও তাদের দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় সদস্যরা এবার চূড়ান্তভাবে ধর্মঘটের পথে হাঁটছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ছোট নৌকা সংকট মোকাবেলায় যেভাবে স্টার্মার সরকার চাপে রয়েছে, এই ধর্মঘট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। সরকারের জন্য এটি হবে এক বড় পরীক্ষা—কীভাবে তারা সীমান্ত নিরাপত্তা বজায় রেখে কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারে।

সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ

এম.কে

আরো পড়ুন

ব্রিটিশ বাংলাদেশি ব্যারিস্টার শাম উদ্দিনের ভিডিওবার্তাঃ ইসরায়েল কর্তৃক খুন হতে পারেন ব্রিটিশ রাজা

ব্রিটে‌নে বাংলাদেশি বং‌শোদ্ভূত ব্রিটিশ সাইবার সন্ত্রাসীর প্যারোল প্রত্যাখ্যান

হোম অফিস ই-ভিসার ‘গ্রেস পিরিয়ড’ ১ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বর্ধিত করেছে