ব্রিটেনের সিক-নোট কালচার বন্ধে কনজারভেটিভ সরকার ব্যবস্থা নিবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কনজারভেটিভ সরকার প্রতিবন্ধীদের ভাতা ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন আনতে চায় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
পার্সনাল ইন্ডিপেন্ডেন্স পেমেন্ট (পিআইপি) ব্যবস্থায়ও পরিবর্তনের ব্যাপারে কথা বলেছে বর্তমান সরকার। সাধারণ নির্বাচনের আগে ঋষি সুনাক এইসব পরিবর্তনের দিক নির্দেশনা দিতে পারেন বলে জানা যায়।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলির মধ্যে অন্যতম ব্রিটিশদের কাজে ফিরে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতিবন্ধীদের নগদ অর্থের পরিবর্তে ভাউচার ব্যবস্থা চালু করার প্রয়াসে কাজ করছে কনজারভেটিভ সরকার। তাছাড়া তাদেরকে স্বাস্থ্য ও বাসস্থান খাতে সহযোগিতা দেয়া হবে যা নগদ লেনদেনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়।
ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস সেক্রেটারি মেল স্ট্রাইড মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সকে এই পরিকল্পনার খসড়া নিয়ে আলোকপাত করবেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
সরকারের এই পরিকল্পনায় নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ের ব্যবস্থাকে উদাহরণ হিসাবে ধরে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় কর্তণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কর্মক্ষম বয়সের প্রায় ২.৬ মিলিয়ন মানুষ বর্তমানে প্রতি মাসে পিআইপি পান, যা বছরে প্রায় ৫০০০ পাউন্ড সমপরিমাণ। পিআইপি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যে কোনও অতিরিক্ত ব্যয়কে সামঞ্জস্য আনার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমান পিআইপি বাজেট প্রায় ২২ বিলিয়ন পাউন্ড যা গত চার বছরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মিঃ স্ট্রাইড পিআইপি ও বেনিফিট ভাতা বিষয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন অক্ষম ব্যক্তিদের থেরাপি প্রদানে সাহায্য , সামাজিক যত্নের প্যাকেজ প্রদান নগদ অর্থ প্রদানের বিকল্প হতে পারে।
মিঃ স্ট্রাইড দাবি করেছেন, বেনিফিট বা পিআইপি সুবিধা পরিবর্তনের মৌলিক কারণ হল শুধু ব্যয় কমানো নয়। মূল উদ্দেশ্য হল অক্ষম বা দূর্বল ব্যক্তিদের কাজে ফিরে আসতে সহায়তা করা।
উল্লেখ্য যে, পিআইপি হ’ল ব্রিটিশ প্রতিবন্ধীদের সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা চাওয়ার একটি উপায়। এটি অক্ষম ব্যক্তিদের প্রদান করা হয় যারা কাজ করতে অপারগ।
সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ
এম.কে
২৯ এপ্রিল ২০২৪