বর্তমানে বাড়ি থেকে কাজ করা পাঁচজনের মধ্যে দুইজন বলে যে তারা কখনই অফিসে ফিরবেন না। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে করা সমীক্ষায় দেখা গেছে, লন্ডনে পুরুষরা চান মহামারি শেষে যেন আর কখনোই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নিয়মে ফিরতে না হয়, এদিকে ১০ জনে মাত্র ১ জন নারী ঘর থেকে কাজের সুবিধা ছেড়ে অফিসে ফিরে যেতে আগ্রহী।
এই সপ্তাহে করা একটি নতুন সমীক্ষায় দেখায়, ৭১ শতাংশ মানুষ বাড়ি থেকে কাজ করতে পছন্দ করেন এবং ৫৮ শতাংশ বিশ্বাস করে যে তারা ঘরে থেকে কাজ করলে আরো বেশি সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠেন।
ইউগভ পরিচালিত একটি জরিপ সম্প্রতি দেখায় যে, অফিসে কর্মীদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত সপ্তাহে সরকার ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নিয়ম পরিবর্তনের পর থেকে মাত্র নয় শতাংশ শ্রমিক স্থায়ীভাবে তাদের ডেস্কে ফিরে এসেছেন।
জরিপের এক চতুর্থাংশ বলেছেন যে তারা পার্ট টাইমে ফিরে এসেছেন, যখন ৬৩% দূরবর্তীভাবে কাজ করছেন এবং ৩৯% চাইছেন সারাজীবনের জন্য বাড়ি থেকেই কাজের সুবিধা পেতে।
ফলাফলগুলো মন্ত্রীদের ভেতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যারা প্রাক-মহামারি স্তরে ফিরে যেতে আগ্রহী।
মন্ত্রিপরিষদ অফিসের মন্ত্রী স্টিভ বার্কলে প্রতিটি বিভাগের স্থায়ী সচিবকে চিঠি দিয়েছেন, তাদের কাছে বেসামরিক কর্মচারীদের অফিসে ফিরে যেতে বাধ্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রযুক্তি কোম্পানি ফ্রিস্পেসের পৃথক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে অফিসগুলো মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার বেশি ব্যস্ত ছিল কিন্তু গত বছরে সোমবার এবং শুক্রবারে বেশিরভাগ খালি ছিল।
ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় নারী বসেরা সতর্ক করেছেন, এভাবে ঘরে থেকে কাজ করার প্রবণতা নারীদের ক্যারিয়ারের সম্বৃদ্ধিকে পিছিয়ে দেবে।
২৯ ডিসেম্বর ২০২২
এনএইচ