ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার ব্রিটিশ সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর পক্ষে সমর্থন জানানোয় যুক্তরাজ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার এটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
গত ৫ জুলাই মধ্য লন্ডনে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পর দুই নারী এবং একজন পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- পশ্চিম সাসেক্সের ৭১ বছর বয়সী জেরেমি শিপ্পাম, সারে এলাকার ৭১ বছর বয়সী জুডিট মারে এবং লন্ডনের হ্যাকনির ৫৩ বছর বয়সী ফিওনা ম্যাকলিন।
অভিযোগ গঠন করে এই তিনজনকে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করতে বলা রয়েছে।
এদিকে, কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি শনিবার যুক্তরাজ্যজুড়ে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়ে আসছে। আগামী শনিবার বিকেলে লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও কয়েক সপ্তাহেরত বিক্ষোভে পুলিশ ব্যাপক দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম চালিয়েছে।
৫ জুলাই থেকে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পর থেকে ব্রিটশ পুলিশ সতর্ক করে দিয়েছে, তদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা এখন একটি অপরাধ।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ইংল্যান্ডের একটি বিমান ঘাঁটিতে বিক্ষোভে ফিলিস্তিনপন্থী এই সংগঠনের কর্মীরা জড়িত – এমন দাবি তুলে কয়েকদিন পরই সরকার ২০০০ সালের সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। সেখানে মূলত দুটি বিমানে লাল রঙ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে, যার ফলে আনুমানিক ৭০ লাখ ডলার ক্ষতি হয় বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত চারজনকে এখনো হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্যালেস্টাইন অ্যাকশন তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে। কেননা তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকা বা সমর্থন করাকে একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে, যার শাস্তি ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। এটিকে বিশ্লেষকরা বাকস্বাধীনতার ওপর ব্রিটিশ সরকারের আক্রমণ হিসাবে দেখছে।
এম.কে
০৮ আগস্ট ২০২৫