যুক্তরাজ্যে বাড়ি ভাড়ার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। ভাড়াটেদের চাহিদা বাড়ার কারণে এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে রেকর্ডে থাকা বাড়ি ভাড়ার চিত্র বলছে, এ যাবৎকালের সর্বোচ্চে উঠেছে বাড়ি ভাড়ার হার।
অনেক এলাকায়ই এখন ভাড়া নেয়ার মতো পর্যাপ্ত বাসা পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা ও সরবরাহের এ ব্যবধানের কারণে দাম বেড়ে গেছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস বলেছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ভাড়া বাবদ ভাড়াটেদের খরচ গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এ পরিসংখ্যানটি এমন এক সময় এলো যখন গৃহস্থালির বাজেট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।
একদিকে ভাড়াটিয়াদের উচ্চ চাহিদা, অন্যদিকে বাড়িওয়ালাদের থেকে ভাড়া দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ঘরের স্বল্পতা ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান শেষে প্রোপার্টি পোর্টাল রাইটমুভ জানিয়েছে, ভাড়াটিয়াদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এতটাই তীব্র যে এখন প্রতিটি ভাড়াযোগ্য বাসা দেখতে ২০টি করে অনুরোধ আসছে। মহামারীপূর্ব ২০১৯ সালের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি।
লন্ডনে ভাড়া বেড়েছে রেকর্ড ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। একমাত্র এ অঞ্চলেই এর আগে বাড়ি ভাড়া কমেছিল। ২০০৬ সালে লন্ডনের আবাসন ভাড়ার তুলনামূলক রেকর্ড রাখতে শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই সর্বোচ্চ বৃদ্ধির খবর এলো।
একই হারে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়র্কশায়ার ও হাম্বারে ভাড়া বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের ভাড়াটেদের জন্য আরো বড় দুঃসংবাদ। সেখানে গড়ে এক বছরে ভাড়া বেড়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং স্কটল্যান্ডে বেড়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
এস্টেট এজেন্সি নাইট ফ্রাঙ্কের যুক্তরাজ্যের আবাসিক গবেষণার প্রধান টম বিল বলেন, ‘ভাড়াটেদের ওপর চাপ শিগগিরই কমবে না। ভাড়া উপযোগী আবাসন স্পেসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ভাড়াটিয়াদের আর্থিক চাপে পড়তে হয়েছে। উচ্চ মর্টগেজ হারের কারণে এ ভারসাম্যহীনতা আরো প্রকট হচ্ছে।’
ওএনএস বলেছে, যুক্তরাজ্যে বাড়ির গড় বার্ষিক মূল্য ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ হার মে মাসের সংশোধিত ১ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধির হার থেকে কম। মর্টগেজ হার বৃদ্ধির ফলে বাজার শীতল হয়ে আছে।
এম.কে
২৪ আগস্ট ২০২৩