যুক্তরাজ্যে এনএইচএসকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ব্রিটিশ চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দিতে যাচ্ছে সরকার। নতুন ১০ বছর মেয়াদি স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় বিদেশি নিয়োগ ১০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে।
২০২৩ সালে এনএইচএসে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারদের মধ্যে ৬৮ শতাংশই ছিলেন বিদেশি গ্র্যাজুয়েট, যেখানে ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৭ শতাংশ।
বর্তমানে চিকিৎসকদের বড় একটি অংশ বিদেশ থেকে এলেও নতুন পরিকল্পনায় বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তারদেরই এনএইচএসে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং জানিয়েছেন, “যারা যুক্তরাজ্যে মেডিকেল ট্রেনিং শেষ করেছেন, তাদের এখানে কাজের নিশ্চয়তা দিতেই এই উদ্যোগ।”
The Times-এর ফাঁস হওয়া দলিল অনুযায়ী, জুনিয়র ডাক্তার পদে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সুপারিশ থাকবে পরিকল্পনায়।
বর্তমানে ৩৩,১০৮ জন মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট আবেদন করেছেন ১৩,০০০ পদের জন্য। এর মধ্যে ১২,৩০৫ জন যুক্তরাজ্যের ও ২০,৮০৩ জন বিদেশি।
বিদেশি চিকিৎসকদের সংখ্যা গত দুই বছরে দ্বিগুণ হলেও, যুক্তরাজ্য থেকে মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট বেড়েছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ।
এপ্রিলে যেসব চিকিৎসক নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বড় অংশই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন এবং বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আগত।
জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের হুমকির মধ্যেই এই পরিকল্পনা সামনে এলো, যেখানে তারা সরকারের ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিকে “অপ্রতুল” হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
স্ট্রিটিং স্বীকার করেছেন, এনএইচএস ডাক্তারদের সঙ্গে ঠিকভাবে আচরণ করছে না, তবে ধর্মঘট না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ওয়ার্ক কোচ বসানো হবে জিপি সার্জারিতে, এবং এনএইচএস নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে রোগীদের পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফেরাতে সহায়তা করার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ফাঁস হওয়া কোনো তথ্য নিয়ে মন্তব্য করে না, তবে পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে এনএইচএস পুনর্গঠন এবং মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করা।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
০১ জুলাই ২০২৫