যুক্তরাজ্য ট্রেজারি বিভাগ নিশ্চিত করেছে গ্রহীতা এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে নগদ টাকা উত্তোলনে ফ্রি এক্সেস প্রদান করতে ব্যর্থ হলে ব্যাংক জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে। এই তথ্য ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
তথ্যানুযায়ী নতুন নীতিমালায় প্রত্যেক গ্রাহকের বসবাসরত এলাকার এক মাইলের মধ্যে নিখরচায় নগদ প্রত্যাহার এবং আমানত জমাদানের সুবিধা থাকতে হবে। যদি বসবাসরত এলাকা শহর হতে দূরে হয় তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাইলের ভিতরে এই সুবিধা প্রদান করতে হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
ট্রেজারি বিভাগ জানায় এটিএম বা ব্রাঞ্চ হতে সার্ভিস প্রদানের নিমিত্তে নগদ অর্থের জমা বা উত্তোলন করতে দূরত্বগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও ভবিষ্যতে অর্থের নগদ ব্যবহার হ্রাস,বৃদ্ধির উপর দুরত্বের সীমাগুলি হ্রাস কিংবা বৃদ্ধি হতে পারে।
নতুন গাইডেন্সের অধীনে, যদি এটিএম বা ব্রাঞ্চের পরিষেবা প্রত্যাহার করা হয় তবে বন্ধের আগে বিকল্প ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও কোভিড মহামারী পরবর্তী অবস্থার কারণে বিভিন্ন হাই স্ট্রিট ব্যাংক তাদের শাখা বিভিন্ন এলাকা হতে গুঁটিয়ে নিচ্ছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় কোভিড মহামারীর কারণে ঘর হতে বের না হবার প্রবণতা ত্বরান্বিত হয়েছে তাছাড়া স্মার্টফোনের মাধ্যমে অর্থ পরিচালনার জনপ্রিয়তা ব্যাংকের ব্রাঞ্চ গুঁটিয়ে নিতে বাধ্য করেছে।
যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক জরিপের তথ্যানুযায়ী, গ্রহীতারা ডিজিটাল ব্যাংকিং সম্পর্কে অস্বস্তি বোধ করেন জালিয়াতির কারণে। অনলাইন ব্যাংকিং পরিষেবার উপর আস্থার অভাব এবং কম্পিউটার দক্ষতার অভাবের কারণেও ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে জনগণের অস্বস্তি রয়েছে।
ডাউনহাম মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী জানান, গ্রাহকরা যখন কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করেন তখন এটি ব্যবসায়ের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় সৃষ্টি করে। যদিও
তিনি মনে করেন পোস্ট-কোভিডে লোকেরা কার্ড ব্যবহার করে অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য যে ২০১৫ সাল থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ টিরও বেশি ইউকে ব্যাংকের শাখা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া নগদ লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রবীণ ও ডিসেবল ব্যক্তিরা। যার কারণে শুধু ডিজিটাল লেনদেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে নয় লক্ষ লক্ষ মানুষের নগদ অর্থের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
এম.কে
১৯ আগস্ট ২০২৩