ভিসা প্রত্যাখ্যানের পর যারা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য ইমিগ্রেশন আপিল একটি শক্তিশালী বিকল্প। আপিল চলাকালীন স্বয়ংক্রিয়ভাবে থাকার অধিকার বাড়ানো হয় এবং কাজ করার অনুমতিও বজায় থাকে। দীর্ঘ আপিল প্রক্রিয়া প্রয়োজনে আবেদনকারীর জন্য সময় কেনার সুযোগ দেয়। বিচারক আপিলের সময় নতুন পরিস্থিতি বিবেচনা করতে পারেন, যা আবেদনকারীর পক্ষে কাজ করতে পারে। তবে আপিলের সময় দেশ ছেড়ে যাওয়া যায় না, প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও জটিল, এবং সবসময় চাওয়া ভিসা নাও পাওয়া যেতে পারে।
নতুন আবেদন দ্রুত সমাধান দেয়, বিশেষ করে সুপার প্রায়োরিটি সার্ভিসে আবেদন করলে একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত পাওয়া সম্ভব। আইনজীবীর খরচও তুলনামূলক কম হয়। তবে ঝুঁকি রয়েছে—প্রত্যাখ্যানের পর আপনি ওভারস্টেয়ার হলে কাজের অধিকার হারান এবং এই সময় কাজ করা অবৈধ। দ্বিতীয় আবেদন ব্যর্থ হলে আপিলের সুযোগ থাকে না এবং দেশ ছাড়তে হয়। এমনকি আবেদন সফল হলেও এই সময়কাল বৈধ বসবাসের হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হয় না।
যদি আবেদনকারী যুক্তরাজ্যের বাইরে থাকেন, নতুন আবেদন সাধারণত দ্রুত সমাধান দেয়। তবে পূর্বের আবেদন যদি ভুল তথ্য প্রদান, উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ বা সাধারণ প্রত্যাখ্যানের কারণে বাতিল হয়, তখন নতুন আবেদন কার্যকর হবে না। এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে আপিল প্রয়োজন হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ভিসা প্রত্যাখ্যানের পর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আইনগত পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ প্রতিটি পরিস্থিতি আলাদা এবং ফলাফলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
সূত্রঃ ই আই এন
এম.কে
৩১ জুলাই ২০২৫