যুক্তরাজ্যে মহিলা সার্জনেরা যৌন নির্যাতন, হয়রানি এবং সহকর্মীদের দ্বারা ধর্ষণ চেষ্টার রিপোর্ট করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে রিপোর্ট প্রকাশ পায়। একটি নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী এটাকে সার্জারীর মি টু মোমেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
এনএইচএসে কর্মরত প্রায় তিনজন মহিলা সার্জন গত পাঁচ বছরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানা যায়। ব্রিটিশ জার্নাল অফ সার্জারিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় অংশ নেওয়া সার্জনরা ধর্ষণের এগারোটি দৃষ্টান্তের খবর দেন যা গোটা ব্রিটেন জোর আলোচনার জন্ম দেয়।
সমীক্ষায় এনএইচএসের শ্রেণিবদ্ধ কাঠামো সম্পর্কে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। সমীক্ষায় আরো দেখা যায় ৪০ শতাংশেরও বেশি মহিলা সার্জন তাদের দেহ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খারাপ মন্তব্য শুনতে পান সহকর্মীদের নিকট হতে এবং ৩৮ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে যৌনলালসার শিকার হয়েছেন।
তাছাড়া অন্যান্য উদাহরণের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ, অশ্লীল মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ৯০ শতাংশ মহিলা বলেছেন তারা গত পাঁচ বছরে যৌন দুর্ব্যবহারের সাক্ষী হয়েছেন এবং ৮১ শতাংশ পুরুষ একই উত্তর দিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনস -এর সার্জারি ফোরামে মহিলাদের সভাপতি সার্জন তামজিন কামিং বলেন, প্রতিবেদনের সুপারিশগুলি যথাযথ তদারকি করার জন্য এবং যৌন দুর্ব্যবহারের ঘটনাগুলি স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য একটি জাতীয় বাস্তবায়ন প্যানেল তৈরি জরুরি।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্লিনিকাল নেটওয়ার্কের সভাপতিত্বকারী ডাঃ বিন্টা সুলতান বলেছেন, প্রতিবেদনে “স্পষ্ট প্রমাণ” উপস্থাপন করা হয়েছে যৌন নিপিড়নের। হাসপাতালগুলিকে একটি নিরাপদ স্থান হিসাবে গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজন।
উল্লেখ্য যে সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, “যৌন দুর্ব্যবহার প্রায়শই ঘটে এবং গভীরভাবে শ্রেণিবদ্ধ কাঠামো বিভিন্ন কারণে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া অনেক সময় যায় না। তাছাড়া লিঙ্গ এবং শক্তি ভারসাম্যহীনতার সংমিশ্রণের কারণে সবাই সোচ্চার হতেও ভয় পায়।
ইংল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনসের সভাপতি টিম মিচেল বলেছেন, এই জাতীয় বিশ্রী আচরণের স্থান এনএইচএসের কোথাও নেই। এটিকে “ঘৃণ্য” হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমরা কখনও এই জাতীয় আচরণ সহ্য করব না। তিনি প্রতিবেদন সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে হতবাক হয়ে পড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান।
এম.কে
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩