গ্রিন পার্টির নতুন নেতা জ্যাক পোলানস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি সব ধরনের মাদক বৈধ করার পক্ষে। বিবিসি সাউথ ইস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে, এখন সময় এসেছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে একটি নতুন নীতি গ্রহণের।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে করদাতাদের অর্থ ব্যয় হচ্ছে অবৈধ মাদক বাজার, গ্যাং কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ মোকাবিলায়। “দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীরা ভেবেছেন, মাদক অবৈধ করলেই সমস্যা শেষ হয়ে যাবে। বাস্তবে তা হয়নি,”—যোগ করেন তিনি।
বোর্নমাউথে দলের শরৎকালীন সম্মেলনকে ঘিরে এই অবস্থান স্পষ্ট করলেন পোলানস্কি। নতুন নেতৃত্ব দলে তার সঙ্গে রয়েছেন সহ-নেতা মোথিন আলী ও র্যাচেল মিলওয়ার্ড। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেন্ট, সাসেক্স ও সারে অঞ্চলে গ্রিন পার্টির উল্লেখযোগ্য উত্থান ঘটেছে, এমনকি কনজারভেটিভ ভোটকেন্দ্রিক এলাকাতেও।
পোলানস্কিকে নেতৃত্ব নির্বাচনে “ইকো-পপুলিস্ট” হিসেবে দেখা হয়েছে, যিনি তুলনামূলকভাবে বেশি বামপন্থী অবস্থান নিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, দক্ষিণ ইংল্যান্ডের মানুষের আসল সমস্যা হলো স্থবির মজুরি, বেড়ে যাওয়া বিল, এনএইচএস সেবা সংকট এবং তরুণদের সুযোগের অভাব। তার মতে, এগুলো সমাধান করাই মূল রাজনৈতিক অঙ্গীকার, যা “প্রায় সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে।”
গ্রিন নেতা ঘোষণা করেছেন, তার দল কোটিপতি ও বিলিয়নিয়ারদের ওপর কর আরোপ করে সম্পদ পুনর্বণ্টন করতে চায়। তিনি বলেন, “অতিরিক্ত সম্পদ আমাদের কমিউনিটিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে একটি ন্যায্য সমাজ গড়ে উঠবে।”
প্রতিরক্ষা নীতিতে তিনি জানান, যুক্তরাজ্যকে ন্যাটোর বাইরে বিকল্প ইউরোপীয় জোট খুঁজতে হবে। পোলানস্কির ভাষায়, “আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের দয়া-দাক্ষিণ্যে থাকতে পারি না। আমাদের ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে নতুন সমঝোতা প্রয়োজন।” তবে এতে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে তিনি আশাবাদী। তার মতে, গ্রিন পার্টি ৩০ থেকে ৪০টি আসন জিততে সক্ষম হবে। বিশেষ করে ব্রাইটনে সিয়ন বেরির সাফল্যের কারণে আশেপাশের আসনগুলোও এখন হাতের নাগালে এসেছে বলে মনে করেন তিনি।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০৩ অক্টোবর ২০২৫