যুক্তরাজ্য সরকার সিরীয় নাগরিকদের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পুনরায় শুরু করেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই প্রক্রিয়ার ওপর যে সাময়িক বিরতি জারি করা হয়েছিল, তা ১৪ জুলাই ২০২৫ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বর্ডার নিরাপত্তা ও আশ্রয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডেম অ্যাঞ্জেলা ঈগল হাউস অব কমন্সে একটি লিখিত বিবৃতিতে জানান, আসাদ সরকারের পতনের পর নিরাপদ ও নিরপেক্ষ তথ্যের অভাবে হোম অফিস সিরীয় নাগরিকদের সাক্ষাৎকার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ স্থগিত রাখে। এই স্থগিতাদেশ প্রয়োগ হয় সিরিয়ান ভলনারেবল পারসনস রিসেটেলমেন্ট স্কিমের আওতায় আসা শরণার্থীদের ওপরও, যারা পাঁচ বছরের শরণার্থী মর্যাদা শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করেছিলেন।
ডেম ঈগল আরও বলেন, হোম অফিস তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে এবং আজ নতুন তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে আবারও আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়েছে। এখন থেকে সিরীয় আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত আবেদন ও নিরাপদে ফেরত পাঠানোর পর্যালোচনাগুলো সরকার নির্ধারিত নীতিমালার আলোকে চালানো হবে।
এই উপলক্ষে সরকার হোম অফিসের পক্ষ থেকে সিরিয়া সম্পর্কে সাতটি নতুন দেশভিত্তিক নীতি ও তথ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা সরকারি ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রিফিউজি কাউন্সিল। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন বলেন, দীর্ঘসময় ধরে আশ্রয়প্রার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটাচ্ছিলেন—তারা কাজ করতে পারছিলেন না, বসবাসের নিশ্চয়তা পাচ্ছিলেন না এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের ফলে তাদের জীবনে কিছুটা স্বস্তি আসবে।
সলোমন আরও বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত অস্থিতিশীল। তাই প্রতিটি আশ্রয় আবেদন অবশ্যই পৃথকভাবে ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হবে। তিনি সরকারকে সতর্কতা ও সহানুভূতির সঙ্গে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান, যেন কেউ এমন পরিস্থিতিতে ফেরত না যায়, যেখানে তার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সূত্রঃ ই আই এন
এম.কে
১৪ জুলাই ২০২৫