করোনা মহামারিতে দেওয়া লকডাউন ও বিধিনিষেধে অর্থনৈতিক কার্যক্রম থমকে যাওয়ায় বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। তার ওপর বছরের শুরু থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আলাদা চলতে গিয়ে বিভিন্ন সংকটে পড়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
রেকর্ড পরিমাণ ঋণের বোঝা, সরকারি খাতের ঋণ, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও ভোক্তাব্যয় হ্রাসসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশটি। যুক্তরাজ্যে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, দেশের ৩০০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় পতন।
বুধবার (৩ মার্চ) যুক্তরাজ্যে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ২০২১ সালের বাজেট ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন বাজেটের প্রধান বিষয়ই হবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে টেনে তোলা।
পিটার ওয়াকার, রাজনৈতিক সংবাদদাতা বলেছেন, এবছরের বাজেটে সুনাক করোনা ভাইরাসের কারনে অর্থনীতিতে যে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি কোভিডের অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে লোকদের রক্ষা করতে যা কিছু প্রয়োজন করবেন।
ঋষি সুনাক সাংসদ মাধ্যম এবং জনগণের কাছে সতর্কতা জারি করেছেন, তাত্ক্ষণিকভাবে এই ক্ষতি থেক বের না হতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
২০২১ সালের বাজেটের মাধ্যমে যেভাবে উপকৃত হবেন ব্রিটিশ নাগরিরা:
- চ্যান্সেলর বলেছেন, তিনি আশা করছেন বেকারত্ব আগামি জুলাই মাসে ১১.৯ শতাংশ থেকে কমে ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
- সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত ফারলো স্কিম বাড়ানোর বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন। এর সাথে সেলফ ইমপ্লয়মেন্ট স্কিম বাড়ানোর বিষয়েও নিশ্চয়তা দেন তিনি।
- লকডাউনে বন্ধ হতে চলেছে বা ক্ষতির মুখে পড়েছে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
- আতিথেয়তা এবং অবসর ব্যবসায়গুলোকে তিন মাসের জন্য কোনো ব্যবসায়িক হার দিতে হবে না।
সূত্র: বিবিসি
৩ মার্চ ২০২১
এসএফ