13 C
London
February 22, 2025
TV3 BANGLA
বাকি বিশ্ব

যুক্তরাজ্য-আয়ারল্যান্ডের মূল সমস্যা হয়ে উঠেছে অভিবাসন

আইরিশ সরকার দাবি করেছে, যুক্তরাজ্য সরকার রুয়ান্ডা আইন পাস করার পর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড থেকে আইরিশ রিপাবলিকের সীমান্তে প্রবেশ করা অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে৷ আইরিশ সরকার বলেছে, অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীরা গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন৷

গত সপ্তাহে, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড সরকারের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আলাপ করেন৷ আইরিশ সরকার একটি বিল প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যাতে তারা যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠাতে পারে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ফ্রান্স যদি অভিবাসী ফেরত না নিতে পারে তাহলে যুক্তরাজ্য প্রত্যাবর্তন ব্যবস্থায় সম্মত নয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করা অভিবাসী ও শরণার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন দেশে আশ্রয় আবেদন করা থেকে বিরত রাখতে ২০১৩ সালে ডাবলিন চুক্তি করেছিল দেশগুলো৷ চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী আশ্রয়প্রার্থীরা প্রথম যে দেশে পৌঁছান সেখানে আবেদন করবেন৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্য এই চুক্তির কোনো সুবিধা পাচ্ছে না৷

যদিও আয়ারল্যান্ড ইউরোপের অংশ তবে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ এবং আইল অব ম্যান অঞ্চলগুলোর মধ্যে সেনজেনের মতো মুক্ত সীমান্ত ব্যবস্থা রয়েছে৷ ২০২০ সালে চুক্তির মাধ্যমে এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হলেও কিন্তু তা কার্যকর হয়নি৷

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং আইরিশ রিপাবলিকের সীমান্তে পুলিশি নজরদারি বসানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কনজারভেটিভ রিপাবলিকান পার্টি ফিয়ানা ফেইল দলের নেতা জেমস ও’কোনর। যাতে আরো বেশি সংখ্যক অভিবাসীকে আয়ারল্যান্ডে প্রবেশ থেকে আটকানো যায়৷

আইরিশ সরকার গত সপ্তাহে যদিও বলেছিল সীমান্তে তারা পুলিশি প্রহরা বসাবে না৷

জেমস ও’কোনর ডেইলি মেইল’কে বলেন, আমরা সীমান্তকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে রেখে দিতে পারিনা এবং আয়ারল্যান্ডের শহর এবং তার চারপাশে আরো শিবির বা তাঁবু টানিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের সুযোগ করে দেব না।

ও’কোনর আরো বলেন, ‘‘আমার বলতে কোনো লজ্জা নেই, আবাসন হিসাবে সারা দেশে হোটেল এবং বিঅ্যান্ডবি কেনা মোটেও কাজের কথা নয় এই ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়ছে৷ দেশের কয়েকটা এলাকায় রাজনীতিবিদদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে৷ বিক্ষোভ অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ এটা আমার জন্য রীতিমতো উদ্বেগের৷’’

আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আয়ারল্যান্ডের আশেপাশে কোনো অস্থায়ী শিবির থাকবে না৷ রোববার আইরিশ টাইমস রিপোর্ট করেছে, সরকার এখন ফিনিক্স পার্ক এবং সেনা ছাউনির পাশাপাশি অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুবিধাগুলোকে জরুরি বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করার কথা ভাবছে, যাতে তারা গ্র্যান্ড ক্যানেল শিবির সরাতে পারেন৷

আইরিশ শরণার্থী কাউন্সিল বিবিসিকে জানিয়েছে, আয়ারল্যান্ডে এই মুহূর্তে প্রায় এক হাজার ৮০০ জন গৃহহীন আশ্রয়প্রার্থী রয়েছেন৷ কিন্তু প্রায় ১৪ হাজার আইরিশ মানুষের কোনো আবাসন নেই৷

সূত্রঃ ডেইলি মেইল/ বিবিসি

এম.কে
০৯ মে ২০২৪

আরো পড়ুন

বিজ্ঞানী-উদ্ভাবকসহ আরও যাদের নাগরিকত্ব দেবে সৌদি আরব

অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফাটল, চুইয়ে পড়ছে পানি

‘মিক্সড মার্শাল আর্ট’ ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, নিষিদ্ধ করল আফগানিস্তান