যুক্তরাজ্যের হাজার হাজার যাত্রীরা ব্রিটেনের বৃহত্তম এয়ারলাইন্স কোম্পানির ফ্লাইট বাতিলের কারণে ভ্রমণ জটের মুখোমুখি হয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়। লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ইজিজেটের ১৭০০ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় এই জটের সূত্রপাত।
শেষ মুহুর্তে সাসেক্স বিমানবন্দর থেকেও শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বলে জানা যায় যাতে প্রায় কয়েক সপ্তাহে ইজিজেটের ১,৮০,০০০ যাত্রী ভ্রমণ বিভ্রাটে আটকে পড়েন।
পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ ভ্রমণকারীদের মধ্যে হতে ৯৫ শতাংশ যাত্রীদের অন্যান্য ইজিজেট ফ্লাইটে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে ৯০০০ যাত্রী অভিযোগ করেন তাদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাই নেয় নাই প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাডভান্টেজ ট্র্যাভেল পার্টনারশিপের চিফ এক্সিকিউটিভ জুলিয়া লো বুয়ে-সায়দ বলেন, “ এই যাত্রাবিভ্রাট লোকেদের জন্য মানসিক চাপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ অনেকে হলিডের প্ল্যান করেছেন তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হবেন।”
ইউরোপীয় আইনানুসারে, যেসব যাত্রীদের ফ্লাইট যে এয়ারলাইন্স কর্তৃক বাতিল হয় সেই এয়ারলাইন্স দ্বারাই একই দিনে ভ্রমণের টিকেটের ব্যবস্থা করে দিতে হয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
ইজিজেটের একজন মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে জানান, “ আমরা বর্তমানে প্রায় ১,৮০০ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে যাচ্ছি এবং প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ গ্রাহক বহন করছি। সমস্ত এয়ারলাইন্সের মতো আমরা ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকি। সাময়িক এই সমস্যা মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
উল্লেখ্য যে, লন্ডন স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে আমেরিকান রাষ্ট্রপতি বাইডেনের আগমন উপলক্ষে অনেকগুলো ফ্লাইট বাতিল হয়। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আসা উপলক্ষে স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল বলে খবরে জানা যায়।
যুক্তরাজ্য বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রত্যেক এয়ারলাইন্সকে পরিকল্পনা এবং বিতরণে আরো ভাল হতে হবে। গ্রাহকদের তথ্য দ্রুত জানাতে ব্যবস্থা নেওয়া এয়ারলাইন্সদের কাজেরই অংশ।
এম.কে
১০ জুলাই ২০২৩