যুক্তরাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বড়দিন সামনে রেখে শপিং সেন্টারে মানুষের ঢল, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে বেড়েছে জ্বরের প্রকোপ। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের বাকি অংশ থেকে লন্ডন এবং দক্ষিণ পূর্বকে সম্ভাব্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দিতে পারে সরকার।
সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলকে সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো যুক্তরাজ্যের বাকি অংশ থেকে লন্ডন এবং দক্ষিণ পূর্বকে সম্ভাব্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। তিনি জানিয়েছেন,নতুন এই ভাইয়াসের কারণে উদ্বেগে রয়েছে সরকার। এবং এটি কত দ্রুত সংক্রমণ করে তা নিয়েও চিন্তিত তারা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাস বিধিনিষেধ জোরদার করার ঘোষণা দিতে পারেন।
এদকে নতুন এক ধরনের করোনা ভাইরাসের দেখা মিলেছে লন্ডনসহ আশে পাশের অঞ্চলে। সেই ভাইরাস দ্রুত সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যামক জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টিতে অবগত আছে। পাশাপাশি এই নতুন ধরনের ভাইরাস নিয়ে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরাও গবেষণা শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কবলে পড়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। দক্ষিণ ইংল্যান্ডে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ এই নতুন ধরনের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। লন্ডনে জারি হয়েছে ‘টিয়ার থ্রি’ সতর্কতা।
কিন্তু ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ভ্রমনে কিছুটা শিথিলতা দেয়া হবে। তিনটি পরিবারকে বাড়িতে একত্রিত হওয়ার এবং রাতে থাকার অনুমতি দেয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা মনে করছেন, এতে আরও বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে।
সংবাদ মাধ্যম দ্য মিররের মতে, বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা দল ইমার্জেন্সির জন্য এর আগে করোনা মহামারি মোকাবেলা করার জন্য টিয়ার ৪ পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিল।
বৈজ্ঞানিক প্যানেলের অধ্যাপক জন এডমন্ডস পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ক্রিসমাসের পরে টিয়ার ৪ চালু করা যেতে পারে।
সরকারের চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি বলেন, টায়ার ৩ পর্যাপ্ত পরিমাণে সংক্রমণ কমিয়ে আনতে পারবে না। তাই টিয়ার ৩ থেকেও কঠোর হতে পারে ক্রিসমাসের পর করোনার বিধিনিষেধ।
১৯ ডিসেম্বর ২০২০
এসএফ