যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে সাতদিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোনো যাত্রী হোটেলে যেতে না চাইলে সরকারি ব্যবস্থাপনার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতে হবে।
সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলো হচ্ছে বনানীর অমনি রেসিডেন্স, নিকুঞ্জের বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়া, হোটেল গ্রেস ২১, উত্তরার হোটেল এফোর্ড ইন, হোয়াইট প্যালেস হোটেল, মেরিনো রয়েল হোটেল ও মেমেন্টো হোটেল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে, সাতদিন পর যাত্রীদের পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের বাকি দিনগুলো বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে সেই যাত্রীকে কোয়ারেন্টিন থেকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় যাত্রীকে বহন করতে হবে।
গত ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের সঙ্গে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হতো। পরে ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের পরিবর্তে চারদিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তারপর ২৪ জানুয়ারি থেকে চারদিনের পরিবর্তে সাতদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয় সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ২৪ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এনএইচ