বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান সংকটের প্রভাবে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের পাশাপাশি ক্রমাগত কমছে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদাও। ফলে দেশটির অর্থনীতি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মন্দার মুখে পড়তে পারে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দেশটির অর্থনীতিতে এমন সময় মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যখন সেখানকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর জরিপগুলোর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অতিরিক্ত ব্যয়ের চাপ অনেকটা কমে এসেছে। মূলত চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে। ফলে কাঁচামাল আমদানি থেকে শুরু করে উৎপাদনসংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রেই ব্যয় কমেছে।
কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই) কারখানার ওপর পরিচালিত একটি পৃথক জরিপে দেখা যায়, কারখানাগুলোয় নতুন অর্ডারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০২১ সালের পর এবার সবচেয়ে কম অর্ডার এসেছে। নতুন অর্ডার সংখ্যা কমে যাওয়ার সঙ্গে কারখানাগুলো উৎপাদন ব্যয়ের চাপও কমে এসেছে। তাই কারখানাগুলোয় নতুন অর্ডার কমে আসার মূল কারণ উৎপাদন ব্যয় চাপ কমে আসা ও নতুন শ্রমিক নিয়োগ কম হওয়া উভয় এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত এ তথ্যগুলো যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে বিদ্যমান হতাশাকে আরো বাড়িয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে শ্রমবাজারের তথ্যে দেখা গেছে, নতুন কর্মসংস্থানের সংখ্যা কমেছে, পাশাপাশি বেকারের সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। এতে বোঝা যায় যুক্তরাজ্যের ব্যবসাগুলো নতুন কর্মীদের নিয়োগ ও পুরনো কর্মীদের ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। যদিও দেশটির সামগ্রিক বেকারত্বের হার এখনো ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
পিএমআই প্রতিবেদন তৈরি করা সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্রক্ষেপণ করেছে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে আগামী প্রান্তিকে জিডিপি প্রায় দশমিক ১ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে অর্থনীতি সংকুচিত হবে। এরই সঙ্গে ব্যবসায়িক আস্থা চলতি বছর তার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে খবরে জানা যায়।
এম.কে
০৫ নভেম্বর ২০২৩