যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি বিষয়ক সেক্রেটারি পিটার কাইল ঘোষণা করেছেন সরকার একটি নতুন অ্যাপ জুন মাসে চালু করবে। যেখানে প্রথমে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ভেটারান কার্ডকে ডিজিটাল আইডি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা শিগগিরই তাদের পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইউনিভার্সাল ক্রেডিট অ্যাকাউন্ট এবং বিবাহ ও জন্ম সনদের মতো নথি তাদের ফোনের ডিজিটাল ওয়ালেটে রাখতে পারবেন।
প্রযুক্তি বিষয়ক সেক্রেটারি পিটার কাইল ঘোষণা করেছেন নতুন এই স্মার্টফোন অ্যাপ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সরকারি চিঠিপত্রে পূর্ণ ড্রয়ার এবং একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার দিন শেষ হতে চলেছে।”
জুন মাসে চালু হতে যাওয়া নতুন ডিজিটাল ওয়ালেটে প্রথমে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ভেটারান কার্ড অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এরপরে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থী ঋণ, গাড়ির ট্যাক্স, সুবিধা, শিশুসেবা এবং স্থানীয় কাউন্সিল সম্পর্কিত অ্যাকাউন্টগুলির তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
কাইল উল্লেখ করেন, তার বিভাগ হোম অফিসের সঙ্গে কাজ করছে যাতে পাসপোর্টের ডিজিটাল সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এগুলো অরিজিনাল কপির পাশাপাশি ব্যবহার করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদিও ভিন্নদেশে এই ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকবে। কারণ অন্যান্য দেশের সীমান্ত ব্যবস্থার উপর যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার নির্ভর করে।
ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটি উদাহরণও প্রকাশ করা হয়েছে, যা আসন্ন গভ.ইউকে অ্যাপে স্মার্টফোনে সংরক্ষিত থাকবে।
কাইল বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের দিকে নজর রাখছি। অ্যাপলের এবং গুগলের ডিভাইসে থাকা ওয়ালেটের মতো ডিজিটাল ওয়ালেটটি একজন ব্যক্তির আইডির সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং তাদের পরিচয় প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট হবে।
কাইল আরও উল্লেখ করেছেন যে ফোন হারিয়ে গেলেও ওয়ালেট হারানোর ঝুঁকি থাকবে না, কারণ এটি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা থাকবে। ডেটা লঙ্ঘনের আশঙ্কা দূর করতে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে অ্যাপটি বিদ্যমান ডেটা আইন মেনেই তৈরি করা হয়েছে।
পূর্ব লন্ডনে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাইল বলেন, “আমরা নাগরিক এবং রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক পরিবর্তন করতে যাচ্ছি।”
তিনি আরও যোগ করেন যে ১৮ বছরের নিচের তরুণরা, যারা স্মার্টফোনে অভ্যস্ত, বর্তমান কাগজ-নির্ভর ব্যবস্থাকে পশ্চাৎমুখী হিসেবে দেখবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “অনলাইনে সরকারি সেবা বাড়ানো মানে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না, তারা পিছিয়ে পড়বেন তা নয়। বরং আমরা অনলাইন সেবা সহজতর করার মাধ্যমে সেইসব মানুষের জন্য আরও মানবিক সেবা দিতে পারব, যারা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমেই সেবা গ্রহণ করতে পারেন।”
গত ছয় মাসে লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। এতে আধুনিক স্মার্টফোনে থাকা সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য, যেমন মুখের পরিচয় যাচাই ব্যবস্থা, অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২২ জানুয়ারি ২০২৫