মোটা দাগে পর্যটনবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র এবার ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা নীতিতে কঠোরতা আনছে। নতুন নীতির আওতায়, এসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও পর্যটন ভিসা পেতে হলে ন্যূনতম ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত জমা রাখতে হবে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ২০ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য এই নীতি কার্যকর হবে। কনসুলার কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে পাঁচ, ১০ বা ১৫ হাজার ডলার জামানত চাইতে পারবেন। ভিসার শর্ত মেনে ভ্রমণ শেষে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
হোম অফিসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ দেশ চিহ্নিত করতে ওভারস্টে হার, তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ঘাটতি, বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণের উদ্বেগ এবং পররাষ্ট্রনীতি বিবেচনা করা হবে। এই তালিকা সময়ের সাথে হালনাগাদ হতে পারে। বর্তমানে চাদ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, মিয়ানমার ও ইয়েমেনসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশ (বুরুন্ডি, জিবুতি, টোগো) ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
২০২০ সালের নভেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে একই ধরনের নীতি চালু হলেও করোনা মহামারির কারণে তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। এবার নতুন করে নীতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ১ অক্টোবর থেকে ২৫০ ডলার ‘ভিসা সততা ফি’ চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ফি সকল নন-ইমিগ্রেশন ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসন রোধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায়, কঠোর ভিসা নীতি কার্যকর হওয়ায় অনেক দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউএস ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এই জামানত নীতির কারণে খুব বেশি হলে দুই হাজার ভিসা আবেদনকারী প্রভাবিত হবেন।
এই নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভিসা প্রক্রিয়ার দেশের তালিকায় স্থান পেতে পারে বলে পর্যটন খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০৫ আগস্ট ২০২৫