12.4 C
London
May 16, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতাকে হত্যার প্রচেষ্টা, দিল্লিকে সতর্ক করল ওয়াশিংটন

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারতের স্বাধীন খালিস্তান আন্দোলনের এক নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষ সেই হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তবে ওয়াশিংটনের সন্দেহ, নয়াদিল্লি এই হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিল। বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস নয়াদিল্লিকে সতর্ক করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের  এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাচেষ্টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে এবং বিষয়টি ভারত সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, ভারতীয় কর্মকর্তারা যখন এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন, তখন তারা ‘আশ্চর্য’ হন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা এই সমস্যাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি এবং মার্কিন সরকার বিষয়টি ভারত সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের কর্মকর্তা পর্যায়ে জানিয়েছে।’

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে শিখ নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল তার নাম গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন। তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ নাগরিক। বিষয়টি এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডার মধ্যে স্থগিত থাকা ই-ভিসা ফের চালুর ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি।

গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন কানাডায় আইন পেশার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হয়। ২০২০ সালে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেয় এবং সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাখা হয়েছে। পান্নুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিখস ফর জাস্টিসেরও (এসএফজে) প্রতিষ্ঠাতা, যার কানাডা চ্যাপ্টারের নেতৃত্বে ছিলেন নিজ্জার।

উল্লেখ্য, কানাডার অভিযোগ, খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের হাত রয়েছে এবং ভারতের গোয়েন্দা এজেন্টরাই হরদীপকে হত্যা করেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে নেমে এসেছে।

কানাডার মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২০ লাখ কানাডীয় নানাভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি কানাডায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎসই হলো ভারত। এই শিক্ষার্থীদের প্রায় ৪০ শতাংশই ভারতীয়। ট্রুডো বলেছিলেন যে ভারত থেকে কয়েকজন কূটনীতিক প্রত্যাহার কানাডায় অধ্যয়নরত ভারতীয়দের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া ভ্রমণ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তারা জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে।

সূত্রঃ ফিন্যান্সিয়াল টাইমস

এম.কে
২৩ নভেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

ভিয়েতনামে ১২শো কোটি ডলার প্রতারণা মামলায় রিয়েল এস্টেট ধনকুবেরের মৃত্যুদণ্ড

হোয়াইট হাউসে ঈদ উৎসব, শোনা গেলো কোরআন তেলাওয়াত

বয়কটের পরও মালদ্বীপে পর্যটকদের জোয়ার, ভারতীয়রা হতবাক!