মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য বেসরকারি দাতব্য সংস্থা। সেখানে গত কয়েকদিন ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে।
রাখাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করা বেসরকারি সংস্থার একটি বিশ্বস্ত সূত্র স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজকে জানিয়েছেন, অঞ্চলটিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য যেসব দাতব্য সংস্থা মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে— তারা সেখানকার চলমান সংঘাত থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
সূত্রটি বলেছে, ‘ইউএনওসিএইচএ এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং রাখাইন ছাড়ার সব ব্যবস্থা করছে। তারা অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার সরে যাওয়ার পুরো বিষয়টি সমন্বয় করছে। যার মধ্যে রয়েছে ডব্লিউএফপি/ইউএনএইচসিআর।’
মংডু ও বুচিডংয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকেও এসব সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু এবং বুচিডং থেকে এসব সংস্থার কর্মীরা প্রথমে রাখাইনের রাজধানী সিত্তেতে যাবেন। এরপর তারা সেখান থেকে নিজ গন্তব্যে চলে যাবেন।
২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর রাখাইন নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েন।
রাখাইনের রামরিতে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, রাজ্য থেকে এ মুহূর্তে এসব আন্তর্জাতিক সংস্থার সরে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বিগ্নের। কারণ চলমান সংঘাতের কারণে যেসব মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের জন্য এখন মানবিক সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
সিত্তের কায়ে ফিন মুসলিম ক্যাম্পের এক নারী নারিনজারা নিউজকে জানিয়েছেন, চলমান সংঘাতের কারণে তারা কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না। এ কারণে এসব সংস্থার কাছ থেকে সহায়তা নিচ্ছেন।
সূত্র: নারিনজারা নিউজ
এম.কে
৩১ জানুয়ারি ২০২৪