ব্রিটেনের রাজা হিসেবে তৃতীয় চার্লসের অভিষেক হয়েছে ৬ মে ২০২৩ ইংরেজিতে। এর মধ্য দিয়ে তিনি ব্রিটেনের ৪০তম রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হলেন। লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই রাজকীয় অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। তবে যুক্তরাজ্যের মাত্র ৬২ শতাংশ মানুষ রাজতন্ত্রের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে, এ তালিকায় অল্প বয়সীদের তুলনায় বয়স্করা বেশি।
রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেকের আগে রাজ-পরিবার সম্পর্কে জনগণের মনোভাব জানতে একটি জনমত সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষাটি চালায় ব্রিটিশ জরিপ সংস্থা ইউগভ। যেখানে দেখা যায় ব্রিটেনে রাজার কি কাজ এবং রাজ পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ সাধারণ মানুষের মাঝে অনেক।
তথ্যানুযায়ী রাজাই যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান। তবে তার ক্ষমতা প্রতীকী এবং আনুষ্ঠানিক। তিনি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। প্রতিদিন ব্রিটিশ সরকারের কাজের রিপোর্ট তার কাছে লাল রঙের চামড়ার বাক্সে করে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রতি বুধবার বাকিংহাম প্যালেসে গিয়ে রাজার সঙ্গে দেখা করেন এবং সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে রাজাকে অবহিত করেন।
এছাড়াও রয়েছে রাজার আনুষ্ঠানিক সংসদীয় ভূমিকা। সরকার নিয়োগ থেকে শুরু করে সংসদীয় বছর শুরুর দায়িত্ব রাজাকে পালন করতে হয়। একইসঙ্গে সাধারণ নির্বাচনের আগে রাজাই আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের বিলুপ্তি ঘোষণা করে থাকেন।
এক দশক আগে, ইউগভ ট্র্যাকিং সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ১৭% মানুষ নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান চান, যা এই সর্বশেষ জরিপে বেড়ে দাঁড়িয়েহে ২৬%।
ব্রিটেনকে রাজতন্ত্র হিসাবে অব্যাহত রাখা উচিত বা নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে প্রতিস্থাপন করা উচিত কিনা সে বিষয়ে জরিপে দেখা গেছে:
৬২% রাজতন্ত্রকে সমর্থন করেন
২৬% একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান চান
১১% লোকেদের কোনো মতামত নেই এই বিষয়ে।
তাছাড়া ৬৫ বছরের উর্ধ বয়সীদের মধ্যে ৮০% মনে করেন রাজতন্ত্র সঠিক। যদিও ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান ৩৭% এ নেমে এসেছে বলে জানায় ইউগভ।
ইংল্যান্ডের তুলনায় স্কটল্যান্ড বা ওয়েলসের জনগণের রাজতন্ত্রের পক্ষে কম সমর্থন রয়েছে বলে পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
ঐতিহাসিক এবং রাজকীয় ভাষ্যকার এড ওভেনস বলেছেন যুবকদের মধ্যে সমর্থনের অভাব রাজপরিবারের কাছে “অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়” বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।
তবে তিনি বলেছেন, রয়্যালদের পক্ষে জনপ্রিয়তা বাড়ানো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। যার অন্যতম কারণ অনেকগুলো প্রভাবক রাজপরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।
এম.কে
০৫ আগস্ট ২০২৩