টেলিভিশনে রাত ৯টায় আগ পর্যন্ত উচ্চমাত্রায় চিনি, লবণ ও ফ্যাটযুক্ত খাবারের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকবে চকোলেট, বার্গার, সফট ড্রিঙ্ক, কেক, মিষ্টি, আইসক্রিম, বিস্কুট, মিষ্টি জুস, ক্রিপস, চিপস এবং পিজ্জা।
এছাড়া এসব পণ্যের অনলাইন প্রচার সম্পর্কিত নতুন নিয়মও থাকবে। তবে এসব খাবার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ওয়েবসাইট চালু রাখতে পারবে।
গত বছর অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে সবদিক বিবেচনায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে।
খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো বলেছে, বিজ্ঞাপন প্রচার এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিবিসির সংবাদে বলা হয়, কেবল রাত ৯টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার বা জাংক ফুডের বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি থাকবে। আগামী বছরের শেষ দিকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে। ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, দই, রেডি মিল, চিকেন নাগেট এবং বাটারড ফিশের মতো পণ্যগুলোও এই নিষেধাজ্ঞায় থাকবে। এমনকি তুলনামূলক কম স্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপনও প্রচার করা যাবে না।
তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা ২৫০ জনের কম (যেমন: স্থানীয় কারি হাউজ) তারা এই নিয়মের আওতায় থাকবে না।
অনলাইনে জাংক ফুডের পেইড কন্টেন্ট প্রচার করা যাবে না। তবে জাংক ফুড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্লগ, ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজ চালাতে পারবে।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য অধিদফতর (এনএইচএস) বলছে, কিছু কিছু উচ্চমাত্রায় চিনি, লবণ বা ফ্যাটযুক্ত খাবারে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে না, যেমন: মধু, অলিভ ওয়েল, অ্যাভোকাডো ও মারমাইট। কারণ এই খাবারগুলোতে শিশুদের স্থূলতা বৃদ্ধিতে তেমন প্রভাব দেখা যায়নি।
আলডারশটের একটি সামরিক ঘাটি পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সাংবাদিকদের বলেন, স্থূলতা আমাদের জাতীয় পর্যয়ের একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এর সঙ্গে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।
এনএইচএস বলছে, ১৯৯০ সালের পর থেকে প্রাপ্তপবয়স্ক ব্রিটিশদের ওজন বেড়ে গেছে। মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ লোকের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা স্থূলকায়।
গবেষণা দাবি করে, এই সমস্যাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশু বয়স থেকে শুরু হয় এবং সমাজের পিছিয়ে থাকা শ্রেণির লোকেরা এতে বেশি ভোগেন।
২৪ জুন ২০২১
এনএইচ