ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা মিত্ররা। এমনকি রুশ সেনাদের মোকাবিলায় জেলেনস্কি বাহিনীকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। সেই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও নিয়েছিল সুনাক সরকার। তবে মস্কোর হুমকিতে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে যুক্তরাজ্য।
স্থানীয় সময় রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, এখনই ইউক্রেনের ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই। যদিও এর আগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস কিয়েভের সহায়তায় সেখানে সেনা মোতায়েনের কথা জানিয়েছিলেন।
এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে বিপুল সামরিক সহায়তা দিলেও সরাসরি সেনা মোতায়েন থেকে বিরত থেকেছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সরাসরি সংঘাত এড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমনটা করা হলে তা হবে পারমাণবিক হামলার ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর চূড়ান্ত ধাপ।
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস জানান, রুশ সেনাদের মোকাবিলায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে উন্নত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে কিয়েভে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠাতে পারে যুক্তরাজ্য। পশ্চিমা বহুদেশ ইউক্রেনের সেনাদের নিজ দেশে প্রশিক্ষণ দিলেও এখনো কেউ কিয়েভে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠায়নি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুনাক জানান, এটা হয়তো ভবিষ্যতে সম্ভব হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা। তবে এখনই বাস্তবায়ন করার মতো নয়। বর্তমান সংঘাতে লড়াই করার জন্য কোনো ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনে পাঠানো হবে না।
অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি জানান, ইউক্রেনে যদি ব্রিটিশ সেনা পাঠানো হয় তবে তারা রুশ বাহিনীর বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
গত বছর ইংল্যান্ডের সেনানিবাসগুলোতে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহব্যাপী এসব প্রশিক্ষণে অংশ নেয় প্রায় ২০ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা। এমনকি সামনের দিনগুলোতেও এই প্রশিক্ষণ জারি রাখতে চায় যুক্তরাজ্য।
এম.কে
০২ অক্টোবর ২০২৩