যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, হোম অফিস অসংখ্য আশ্রয়প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ হারিয়েছে। যখন অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর পরিকল্পনা সামনে এগিয়ে আসে তারপর হতেই অসংখ্য আশ্রয়প্রার্থীরা হোম অফিসের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
সোমবার হোম অফিসের ওয়েবসাইটে রুয়ান্ডায় অপসারণ সংক্রান্ত বিভাগে মাত্র ৩৮% লোক যোগাযোগ করেছে বলে জানা যায়। সংখ্যার হিসাবে কেবলমাত্র ২,১৪৫ জন হোম অফিসে রিপোর্ট করা অব্যাহত রেখেছেন যেখানে প্রথম দফায় ৫,৭০০ জন লোককে রুয়ান্ডা পাঠানোর পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছিল সরকার। যদিও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ঋষি সুনাকের এই রুয়ান্ডা নীতির বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জুলাই মাস হতেই রুয়ান্ডা ফ্লাইট চালুর কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব ভিক্টোরিয়া অ্যাটকিনস বলেছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে তৎপরতা চালাবে। তাদের খুঁজে বের করে তাদের গন্তব্য রুয়ান্ডাতেই পাঠানো হবে।
ভিক্টোরিয়া অ্যাটকিনস স্কাই নিউজকে জানান, ” হোম অফিস কার্যকর পদক্ষেপ নিবে এবং আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সিদ্ধহস্ত। আমাদের প্রত্যাশা হ’ল এই বছরের শেষের দিকে সকল অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় সরিয়ে ফেলি। আমরা বার্তাটি পরিষ্কার করে দিতে চাই যদি কেউ মনে করেন রিপোর্ট না করলে খুঁজে পাওয়া যাবে না তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। প্রত্যেক অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদের গন্তব্যেই পাঠিয়ে দেয়া হবে।”
ছায়া ইমিগ্রেশন মন্ত্রী স্টিফেন কিনক বলেছেন, “পরিসংখ্যান দেখে চমকিত হয়েছি তাছাড়া হোম অফিস কিছু মানুষদের হারিয়ে ফেলেছে শোনে হয়েছি স্তম্ভিত। কনজারভেটিভ সরকার তাদের রুয়ান্ডা নীতি নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় পড়েছে। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য কনজারভেটিভ সরকার দায়ী কারণ তাদের সঠিক কোনো পরিকল্পনা নেই।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যারা ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে তাদের সকলকে আটক ও অপসারণ করা হবে। এখন তিনি বা তার সরকার জানাচ্ছেন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি জানি না কনজারভেটিভদের হোম অফিস কীভাবে এত লোককে হারিয়ে ফেলতে পারে। লেবার পার্টি সুন্দর ইমিগ্রেশন পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছে একমাত্র লেবারই যুক্তরাজ্যকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখতে ভুমিকা রাখতে পারে।”
উল্লেখ্য যে, রুয়ান্ডা নীতি বাস্তবায়ন নিয়ে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কনজারভেটিভ সরকার। এতো লোকের খোঁজ হারিয়ে ফেলা নিয়ে নতুন সমালোচনা নির্বাচনে ভোগাতে পারে কনজারভেটিভ দলকে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
৩০ এপ্রিল ২০২৪