গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি এনএইচএস কর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, যা এযাবৎকালের রেকর্ড।
একজন কর্মী জানান, পিটিএসডি (ট্রমা পরবর্তী ডিজঅর্ডার সিন্ড্রোম) এর সাথে লড়াই করেছিলেন তিনি। গত বছর কোভিড ওয়ার্ডে কাজ করার কারণে এই সমস্যা দেখা দিলে আইসিইউ নার্স হিসাবে পদত্যাগ করেন। কাজের চাপের কারণে কান্নায় ভেঙে তার সহকর্মীদের দেখেছেন তিনি।
গত বছরের জুলাই এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের কর্ম-জীবনের ভারসাম্য নিয়ে উদ্বেগের কারণে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই প্রায় ৭ হাজার কর্মী পদত্যাগ করেছেন। খবরে বলা হয়, এটিই ছিল পদত্যাগ করার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ।
৪৬ বছর বয়সী জোয়ান পন্স ল্যাপলানা গত ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় কোভিড ওয়েভের সময় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা নার্স হিসাবে তার ফ্রন্টলাইন চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
‘পুরো টিম সংগ্রাম করেছে এবং এই সংগ্রাম পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে আমি অনুভব করি, এই কাজটি যেন আমার পুরো জীবন। এটি বাড়ির সবকিছু প্রভাবিত করেছিল এবং আমি অন্যান্য চাকরি খুঁজতে শুরু করি। আমি এখনও বের হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।’
সাউথ ইয়র্কশায়ারের একজন ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট বলেছেন: ‘আমি এনএইচএসকে আমার মন থেকে ভালোবাসি, তবুও আমি ভাবছি যে আমার পরিবারের সাথে থাকার জন্য এখানে আর আবেগের জায়গা অবশিষ্ট নেই।’
জানা যায়, কর্মীদের পদত্যাগের এই চিত্র আরও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এনএইচএস-এর পরিষেবাগুলো আগের থেকে আরও প্রসারিত হয়েছে। কর্মীদের অনুপস্থিতি দিনে দিনে আরও বাড়ছে। এদিকে ওমিক্রনের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
১০ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ