পুরো রোম যখন বিষময় ২০২০ সালকে পিছনে ফেলে নতুন ভোরের প্রত্যাশায় মত্ত, ঠিক তখনই তাদের প্রত্যাশার আনন্দ প্রাণ কাড়লো কয়েকশ পাখির। আর তাতে ফুঁসে উঠেছে দেশটির প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে গার্ডিয়ান, স্কাই নিউজসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
রোমের প্রধান রেলস্টেশনের আনন্দের ওই রাতে কয়েকশ স্টারলিংস পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আহত হয় অনেক পাখি।
ওই রাতে পাখিগুলোর এভাবে মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব প্রোটেকশন অব অ্যানিমেলস (ওআইপিএ) একে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে বলছে, উচ্চশব্দে পটকাবাজি ফোটানো ও আতশবাজি এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।
‘এটা হতে পারে তারা ভয়ে প্রাণ হারিয়েছে। তারা ভয়ে একসঙ্গে উড়তে গিয়ে নিজেদের মধ্যে ধাক্কা লেগেও মরতে পারে। আবার হতে পারে তারা ভয়ে উড়তে গিয়ে দিশেহারা হয়ে জানালা বা বিদ্যুতের লাইনে আটকে মারা গেছে। তারা হার্ট অ্যাটাকেও মারা যেতে পারে। ’ বলেন সংগঠনটির একজন মুখপাত্র।
আতশবাজি প্রতি বছর এভাবে পোষা ও বন্যপ্রাণীদের আহত কিংবা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এবং করোনার কারণে জারি থাকা কারফিউ উপেক্ষা করেই এ বাজি ফোটানো হয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির।
ওআইপিএ ইতালি শাখা পটকাবাজি ও আতশবাজি বিক্রি এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে প্রাণীদের সুরক্ষায়।
২ জানুয়ারি ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক