যুক্তরাজ্যে একজন বিচারক ও তার সহযোগীদের ১.৮ মিলিয়ন পাউন্ড জালিয়াতির কারণে সাজা প্রদান করা হয়েছে। তার সহযোগী হিসাবে একজন ব্যারিস্টার এবং খণ্ডকালীন ইমিগ্রেশন ট্রাইব্যুনাল বিচারককেও চিহ্নিত করা হয়েছে। ১.৮ মিলিয়ন পাউন্ড আইনী সহায়তা জালিয়াতির কারণে তার সহযোগীদের তিন বছরের জেল সাজা প্রদান করে আদালত।
ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানা যায়, ৫৪ বছর বয়সী রাসিব গফফারের আইনজীবি গাজি খান, সলিসিটার অ্যাডভোকেট আজার খান এবং সলিসিটার জোসেফ কিরেমেহের মিলিতভাবে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
রাসিব গফফারের অপরাধগুলি ২০১১ এবং ২০১২ সালে একটি মামলার সাথে সম্পর্কিত। যেখানে অপরাধী গ্যাং মিথ্যা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে আসামীদের ব্যয় আদেশ জমা দিয়েছিল বলে খবরে জানা যায়।
সিপিএসের বিবৃতি হতে জানা যায় গাজী খান এই ফৌজদারি ও জালিয়াতি কর্মকাণ্ডের মূল নেতা। ফার্ম সিটি আইন সলিসিটার নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাগজে জালিয়াতি করা হয় বলে জানা যায়। আজার খান এই ল’ফার্মের মূল অংশীদার। একই ফার্মের আরেক অংশীদার সলিসিটর কিয়েরেমেহকেও জালিয়াতিতে সম্পৃক্ত পাওয়া যায়।
ক্রাউন প্রসিকিউশসন সার্ভিসের ম্যালকম ম্যাচাফি মন্তব্য করেন, “ এই দোষী সাব্যস্ত আসামীরা তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে আইনী সহায়তা সংস্থার সাথে প্রতারণা কার্য সম্পাদনা করেছে। তারা প্রতারণামূলকভাবে একটি বিধিবদ্ধ স্কিমের সুযোগ নিয়েছে যা অপরাধ হতে খালাস প্রাপ্ত হতে সহায়তা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। ”
ম্যালকম ম্যাচাফি আরও বলেন, ” মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং সিপিএস এই দুর্নীতিগ্রস্থ আইনীজীবীদের চিহ্নিত করতে একযোগে কাজ করে গিয়েছে। যারা কারণে এই দূর্নীতিবাজ আইনী পেশাদারেরা এখন তাদের পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে।”
উল্লেখ্য যে আদালতের আইনজীবী ও বিচারকদের এই দূর্নীতিতে লিপ্ত থাকায় নানা প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাজ্যের সুশীল সমাজে। অনেক আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কঠিন সাজা দিয়ে এই দূর্নীতিবাজদের দমানো না গেলে সাধারণ জনগণের আদালতের উপর হতে আস্থা কমে যাবে।
সূত্রঃ লিগ্যাল চিক ডট কম
এম.কে
৩০ জুন ২০২৪