16.4 C
London
September 19, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

অবশেষে সামনে এলো লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন। প্রায় ৭ বছর পর গত বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার জন্য ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তৎকালীন সরকারের অবহেলা ও দমকল বাহিনীর কৌশলের অভাবকে দায়ী করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৪ জুন পশ্চিম লন্ডনের কেনসিংটনের বহুতল ভবন গ্রেনফেল টাওয়ারের আগুনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একই পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ ৭২ জনের প্রাণহা‌নি ঘটে। ভয়াবহ ওই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হন আরও প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ।

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ বছর পর বুধবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। প্রতিবেদনে ভবনে আগুন লাগার কারণ হিসেবে ভবনের বাহ্যিক প্রলেপে দাহ্য উপাদান সম্বলিত পদার্থের কথা বলা হয়েছে।

বলা হয়েছে, ভবনের বাহ্যিক প্রলেপের পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইচ্ছাকৃতভাবে আগুনের ঝুঁকি গোপন’ করেছিল। প্রতিবেদনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের কনজারভেটিভ সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ভবন সম্পর্কিত যেসব ঝুঁকি ও উদ্বেগ ছিল, সরকার সেগুলো উপেক্ষা, বিলম্ব বা অবজ্ঞা করেছিল।

এর আগে ২০১৯ সালে তদন্তের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক কারণের কথা বলা হয়। জানানো হয়, ভবনের ৫ম তলায় একটি রেফ্রিজারেটরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। এরপর তা অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

মূলত ২০১৬ সালে ভবনটিতে সৌন্দর্যবর্ধন ও বৃষ্টিপ্রতিরোধক হিসেবে একধরণের প্রলেপ ব্যবহার করা হয়েছিল, যাতে দাহ্য অ্যালুমনিয়ামের উপাদান ছিল। তদন্তকারী দলের প্রধান মার্টিন মুর বিক বলেছেন, একদম সহজ সত্যটা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডে যত মৃত্যু হয়েছে, তার প্রতিটিই এড়ানো যেত।

অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত একটি ব্রিটিশ পরিবারের সব সদস্য নিহত হন। নিহতরা হলেন রাবেয়া ও কামরু মিয়া দম্পতি এবং তাদের তিন সন্তান হোসনা বেগম, হামিদ ও হানিফ। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে বের হওয়ার কোনও সুযোগ সন্তানদের ছিল না।

অগ্নিকাণ্ডের প্রায় দু’সপ্তাহ পর তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, দাঁত পরীক্ষা করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছিল।

নিহতদের এক স্বজন সামির আহমেদ বলেন, সন্তানরা তাদের মা-বাবার সঙ্গেই থেকে যায়। পরিবার ছিল তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা একসঙ্গে বাস করতেন, আবার একসঙ্গেই মারা যান।

সূত্রঃ এপি

এম.কে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

লাল তালিকার বিলুপ্তি: যুক্তরাজ্য ভ্রমণে নেই কোনো দেশের বাঁধা

বেতন বিরোধে যুক্তরাজ্যব্যাপী ধর্মঘট করবে নার্সরা

অনলাইন ডেস্ক

ইংল্যান্ডে আতংক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স!

অনলাইন ডেস্ক