লন্ডনের বর্তমান মেয়র সাদিক খান বলেছেন, তিনি পূণরায় মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হলে ২০৩০ সালের মধ্যে রাস্তায় রাত কাটানো হোমলেস লোকেদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। তিনি জানান সরকারের শেল্টারের ঘাটতি ও ভুল নীতির কারণে লন্ডনের রাস্তায় গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
লন্ডনে গৃহহীন লোকের সংখ্যা এক বছরে প্রায় আগের সংখ্যার চেয়ে এক তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লন্ডনের সম্মিলিত গৃহহীনতা ও তথ্য নেটওয়ার্ক (চেইন) অনুসারে এই বছরের জানুয়ারী থেকে মার্চের মধ্যে রাজধানী লন্ডনের রাস্তায় প্রায় ৪,১১৮ জন লোককে রাস্তায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২ মে মেয়র নির্বাচনের আগে রাস্তায় রাত কাটানো গৃহহীন লোকেদের পরিসংখ্যান লন্ডনের বর্তমান মেয়র সাদিক খানের জন্য বাজেভাবে আঘাত করতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
গৃহহীন চ্যারিটি সেন্ট মুনগো’র প্রধান নির্বাহী এমা হাদাদাদ বলেছেন: “লন্ডন জুড়ে গৃহহীনদের সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে আমরা আশ্চর্য হয়েছি । প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন ইউনিট গৃহহীনদের সমর্থন দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে উপযুক্ত আবাসনের বিশাল ঘাটতি এই অবস্থাকে সত্যই চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।”
ইয়ুথ গৃহহীনদের জন্য দাতব্য সংস্থা সেন্ট্রিপয়েন্ট এবং নিউ হরাইজন ইয়ুথ সেন্টার যৌথভাবে লন্ডনের রাস্তায় গৃহহীনদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা মতামত জানাতে গিয়ে বলে, সংখ্যাধিক্য গৃহহীন অবশ্যই একটি জাতীয় স্ক্যান্ডাল।
সেন্ট্রিপয়েন্টের নীতি, গবেষণা ও প্রচারের প্রধান অ্যালিসিয়া ওয়াকার বলেছেন, “ গৃহহীনদের নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা প্রশ্নবিদ্ধ কারণ সরকার তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করলে এই সমস্যা মোকাবেলা করা অবশ্যই সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রে মনে হয় গৃহহীন ইস্যু আসলে একটি রাজনৈতিক ইস্যু যা ইচ্ছে করেই সমাধান করা হয় না।”
ফ্রন্টলাইন হোমলেস সার্ভিসেসের জাতীয় সদস্যপদ সংস্থা হোমলেস লিংকের প্রধান নির্বাহী রিক হেন্ডারসন বলেছেন, গৃহহীনদের সংখ্যাধিক্য দেখে বোঝা যায় সরকার এই ব্যাপারে সমাধান আনতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, তথ্যানুযায়ী জানা যায় অ-ইউরোপীয় নাগরিকরা এখন লন্ডনের গৃহহীনদের মধ্যে প্রায় ৫৭% যা গত বছরের সংখ্যা হতে ৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। লন্ডনে আফ্রিকান গৃহহীন লোকেদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এশিয়ান লোকেদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্রঃ বিগইস্যু ডট কম
এম.কে
৩০ এপ্রিল ২০২৪