TV3 BANGLA
প্রবাসে বাংলাদেশযুক্তরাজ্য (UK)

লন্ডন মেয়র নির্বাচনের শর্টলিস্টে বাঙ্গালী মোজাম্মেল হোসেন

লন্ডনের মন্ত্রী পল স্কুলি লন্ডনের মেয়র নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি হতে শর্টলিস্টে আসতে পারেন নাই। যদিও পল স্কুলিকে কনজারভেটিভ পার্টি হতে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মনে করা হয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে ধারনা করা হয়েছিল পল স্কুলিই একমাত্র প্রার্থী যিনি লেবার দলের সাথে ভোট যুদ্ধে মোকাবেলা করতে সক্ষম।

ডিজিটাল অর্থনীতি ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পল স্কুলি গত মাসে তার প্রচারের ঘোষণার পরে অনেকের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত হন। যদিও অবশেষে তিনি তিনজনের শর্টলিস্টে ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছেন।

 

 

 

মিঃ স্কুলি যে তিনজনের কারণে নিজের অবস্থান হারান তারা হলেন লন্ডনের এসেম্বলি মেম্বার সুসান হল। তাছাড়া ড্যানিয়েল কর্সকি, যিনি একজন ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং মোজাম্মেল হোসেন কেসি, যিনি একজন ক্রিমিনাল কোর্টের আইনজীবী।

বিরোধী দলীয় কিছু রাজনীতিবিদদের মতে, কনজারভেটিভ দল স্কুলিকে বিভিন্ন কারণে শর্টলিস্টেড করে নাই। অন্যতম কারণ হতে পারে স্কুলির বর্তমান সংসদ হতে পদত্যাগ করার একটি খবর বাজারে চাউর হয়েছিল। কনজারভেটিভ দল বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চাপে রয়েছে বলেও তারা মতামত দেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, স্কুলি যখন গত মাসে তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলেন, তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন বরিস জনসন তার জন্য অনুকরণীয় একজন।

 

 

 

ব্রিটিশ রাজনীতিতে স্কুলিকে জনসনের মিত্র হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। তাছাড়া খবরে জানা যায় শুক্রবার রাতে তিনি এমপি হিসাবে পদত্যাগ করবেন বলেও শোনা গিয়েছিল যা স্কুলির জন্য শর্টলিস্টে না আসার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়ে থাকে।

ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ স্ট্রিটিং বলেছেন,
“ কনজারভেটিভ দল লন্ডন মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে গুবলেট অবস্থায় পড়ে গিয়েছে এরজন্য প্রার্থীর কোনো দোষ নেই। বরং তারা তাদের দলের কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। এটি এমন নয় যে পল স্কুলির প্রতি তাদের কোনও আস্থা নেই; বরং তাদের নিজস্ব রেকর্ডে তাদের কোনও আস্থা নেই। ”

উল্লেখ্য যে, সাদিক খান তৃতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। খবরে জানা যায়, আগামী বছরের মে মাসে লন্ডন মেয়র ইলেকশনের কথা রয়েছে।

 

এম.কে
১২ জুন ২০২৩

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যে আলাদা ইন-অ্যাপ পেমেন্ট সুবিধা দেবে গুগল

যুক্তরাজ্যে গাড়ি ফাইন্যান্স নিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নানা দূর্নীতি

ধার করে সংসার চালাচ্ছে ব্রিটেনের লাখ লাখ মানুষ