উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে চাকরি সোনার হরিণ, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে তার পুরোপুরি উল্টো চিত্র। দেশটিতে লাখ লাখ মানুষ তাদের চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। এ হিড়িক দিন দিন কেবল বাড়ছেই। এতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর্মপদ সৃষ্টি হয়েছে এক কোটি তিন লাখ।
দেশটির শ্রম বিভাগের সর্বশেষ জরিপে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। অব্যাহতভাবে চাকরি ছাড়ায় একদিকে যেমন সৃষ্টি হয়েছে শূন্যপদ, অন্যদিকে জনবল সংকটে পড়েছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্টে ৪৩ লাখ কর্মী চাকরি ছেড়েছেন। এ সংখ্যা মোট চাকরিজীবীর দুই দশমিক ৯ ভাগ। চাকরিজীবীরদের একটা বড় অংশ তাদের চাকরি ত্যাগের কারণ হিসেবে করোনার প্রভাবকে দায়ী করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভাইরাসের ভয়, শিশু যত্ন কেন্দ্রের অভাব এবং মার্কিন সরকারের সহায়তার কারণে চাকরি ছাড়তে পারছেন মার্কিন কর্মীরা। তবে চাকরি না করার এই প্রবণতা করোনার পর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাধা তৈরি করতে পারে।
মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয়ের জরিপে বলা হয়, বাসস্থান ও খাদ্য পরিষেবা খাতের প্রায় ৮ লাখ ৯২ হাজার কর্মী গত আগস্টে করোনার সংক্রমণ বাড়ার পর চাকরি ছেড়েছেন। এর আগের মাসে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৭ হাজার। এদিকে গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়োগকর্তারা মাত্র ১ লাখ ৯৪ হাজার চাকরি মার্কিন অর্থনীতিতে যোগ করতে পেরেছেন। এটি ছিল চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
মার্কিন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইনডিপেনডেন্ট বিজনেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শ্রমিকের অভাবে ভুগেছেন। শ্রমিকদের আনার জন্য এসব ব্যবসায়ী স্বাক্ষর বোনাস এবং মজুরি বৃদ্ধির মতো প্রণোদনা প্রদান করে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ৪২ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গত মাসে জানিয়েছেন যে তাঁরা মজুরি বৃদ্ধি করেছেন।
১৩ অক্টোবর ২০২১
এনএইচ