শরনার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করে এমন বিভিন্ন এনজিও ও সংস্থা যুক্তরাজ্য সরকারের নতুন আবাসন পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। শরণার্থী কাউন্সিলসহ প্রায় ১৭১টি সংস্থা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে “কমন সেন্স” ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করে৷
এনজিওগুলির দাবি, সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পরিবর্তে আশ্রয়ের ‘ব্যাকলগ’ থেকে পরিত্রাণ পেতে আরো বেশি মরিয়া৷
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সুনাককে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “হোটেলের ব্যবহার বন্ধ করা এবং আবাসন সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে নিরাপদ, দ্রুত, সাশ্রয়ী উপায় হলো আশ্রয় আবেদন নিয়ে ন্যায্য এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া৷’’
শরণার্থী কাউন্সিলের সিইও, এনভার সলোমন, বিবিসির নিউজনাইট প্রোগ্রামকে বলেন, ” মানুষকে নিরাপদ কোনো রুট দেওয়া হোক যাতে প্রাণহানির ভয় নেই৷ নিরাপদে তারা যাতে এখানে আসতে পারে। সরকারের সহানুভূতিশীল ব্যবহার দেখতে চাই। “
সলোমনের দাবি, যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী সমস্ত লোককে আশ্রয় আবেদনের নির্দিষ্ট কারণ বা তাদের দেশ ছেড়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করতে “ন্যায্য শুনানি” দেওয়া উচিত৷ ব্রিটেনে অভিবাসীদের প্রবেশকে “অবৈধ” হিসাবে চিহ্নিত করার পরিবর্তে ভেবে দেখা উচিত যুক্তরাজ্য সরকারের কেন তারা নিজেদের দেশত্যাগ করেছে৷ তাদের দেশের শান্তিভঙ্গের জন্য আসলে কে দায়ী?