বুধবার যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে, তারা আগামী দশ বছর ধরে শিশুদের স্বাস্থ্য ও আচরণের ওপর ভ্যাপিং-এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করবে। আট বছর বয়সী শিশুরাও এই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সরকার শিশুদের মধ্যে ভ্যাপিং-এর দ্রুত প্রসার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রতি চারজনের একজন ভ্যাপিং অভ্যাস গড়ে তুলছে।
নতুন বিধিনিষেধ:
যুক্তরাজ্যে জুন মাস থেকে মাত্র পাঁচ পাউন্ডে বিক্রি হওয়া ডিসপোজেবল ভ্যাপ নিষিদ্ধ করা হবে।
বর্তমানে সংসদে আলোচিত টোবাকো অ্যান্ড ভ্যাপস বিল শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য তৈরি ভ্যাপের স্বাদ ও প্যাকেজিং সীমিত করবে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি ও গবেষণা:
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, যুবকদের ভ্যাপিং-এর দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত প্রভাব পুরোপুরি জানা যায়নি, তাই এই গবেষণা সবচেয়ে বিস্তারিত তথ্য দেবে।
১০ বছর ধরে চলবে গবেষণা
৮-১৮ বছর বয়সী ১,০০,০০০ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হবে
আচরণ, জীববিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সরকারগুলোকে ই-সিগারেটকে তামাকজাত পণ্যের মতোই নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছে, কারণ এটি ধূমপান না করা ব্যক্তিদের, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে নিকোটিন আসক্তি বাড়াতে পারে।
স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ:
ভ্যাপিং শ্বাসনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
হাঁপানি রোগীরা জানিয়েছেন, ভ্যাপ তাদের অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে।
নিকোটিন মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষতি করতে পারে।
যুক্তরাজ্যে ভ্যাপিং-এর নীতিমালা:
সাধারণ সিগারেটের মতো উচ্চ কর আরোপ করা হয়নি।
রঙিন ডিজাইন ও ফলের স্বাদের কারণে এটি সহজেই শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
অক্টোবর থেকে ভ্যাপিং তরলে নতুন কর বসানো হবে।
সরকার গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রজন্মকে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষার ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া, তরুণদের সচেতন করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো হবে, যেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করা হবে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫