-0.9 C
London
January 10, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার আসন্ন ‘ভার্চুয়াল বৈঠক’ ঘিরে আওয়ামী লীগে কী চলছে

বাংলাদেশে আন্দোলনের মুখে গত অগাস্টে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যেখানে মূলত তিনি ‘দিকনির্দেশনামূলক’ ভাষণ দিবেন এবং উদ্যোগটি সফল হলে এটিই হবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার নেতাকর্মীদের প্রথম বৈঠক।

এ উদ্যোগটি এমন সময় নেয়া হলো যখন দলটির সিনিয়র নেতাদের প্রায়ই সবাই জেলে কিংবা আত্মগোপনে। অন্যদিকে আত্মগোপনে থাকা সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

অবশ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিবিসি বাংলাকে বলেছেন “আওয়ামী লীগ আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভূত হবে”। তবে সেটি কীভাবে হতে পারে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা তিনি দেননি।

এর আগে শেখ হাসিনা লন্ডন, ফ্রান্স ও ব্রাসেলসে প্রবাসী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ফোনে বক্তব্য দিলেও দলটির নেতাদের সাথে তার যোগাযোগের কোনো তথ্য এতদিন পাওয়া যায়নি।

ঢাকা, কলকাতা ও লন্ডনে থাকা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেছেন শেখ হাসিনা দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন- এমন খবরে তারা উচ্ছ্বসিত এবং তারা মনে করেন ‘বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে’ জেলের বাইরে থাকা নেতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের এ চেষ্টার মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের ‘ঘুরে দাঁড়ানোর’ প্রচেষ্টা শুরু হতে যাচ্ছে।

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “শেখ হাসিনাসহ দলের নেতারা এর মধ্যেই তৃণমূলের ইউনিট নেতাদের সাথে কথা বলতে শুরু করেছেন।

দেশের চল্লিশ ভাগ ভোটার আওয়ামী লীগের। সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলে নির্বাচনেও যাবো। এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। আমরা দলকে সংগঠিত করার কার্যক্রম শুরু করেছি।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলেছেন, “শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সে কারণে তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করতেই পারেন।

এমন বৈঠক হলে সেটি হয়তো হবে দলটিকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টার অংশ হিসেবে একটি রাজনৈতিক কৌশল। তবে দেখার বিষয় হবে সে বৈঠকে শেখ হাসিনা কী বার্তা দেন।”

প্রসঙ্গত, গত পাঁচই অগাস্ট পদত্যাগে বাধ্য হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে। অন্যদিকে ভারত তাকে দীর্ঘসময় ধরে সেখানে অবস্থানের অনুমতি দিয়েছে।

সূত্রঃ বিবিসি

এম.কে
০৯ জানুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

লন্ডনে দেখা মিলল পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী-এমপিদের

নিজ সক্ষমতার পরও এলএনজি আমদানির নীতি ভুলঃ পরিকল্পনা উপদেষ্টা

এবার কারফিউ প্রত্যাখ্যান করলেন বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়করা