TV3 BANGLA
সিলেট

শ্রীমঙ্গলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লন্ডন প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

শ্রীমঙ্গলের ১নং মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুফি মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, হয়রানি ও সম্পত্তি দখলে রাখার অভিযোগে শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ফুফাত ভাই লন্ডন প্রবাসী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল নূর।

 

বুধবার (৫ মে) সংবাদ সম্মেলনে নূর বলেন, ২০১৪ সালে পিতার মৃত্যুর পর ফুফাত ভাই ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাধার কারণে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করতে পারছি না।

 

বণ্টন কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যান তার ভাই ভাতিজা নিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছেন। নির্বাচনী খরচের জন্য আমার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। সুফি মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি আমার মামাত ভাই।

 

তার ৮ জন সৎ ভাই বোনদের বাদ দিয়ে উত্তোরাধিকার সনদের আবেদন করায় তা দেয়া হয়নি। পরে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করায় সনদ দেয়া হয় বলে তিনি জানান।

 

সংবাদ সম্মেলনে শেখ মোহাম্মদ আব্দুল নূর অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে পিতার মৃত্যুর পর সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করতে ফুফাত ভাই ১নং মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুফি মিয়া নানা ভাবে বাধা ও হয়রানি করে আসছেন।

 

তার বাধার কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা পিতার রেখে যাওয়া প্রায় ৯০ একর সম্পত্তির বন্টন করতে পারিনি।

 

বন্টন কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যান তার ভাই ভাতিজা নিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছেন।

 

তিনি জানান, ৪ বোন এক ভাই তার মায়ের গর্ভজাত। বাকি ৮ সৎ ভাই বোনদের হাত করে চেয়ারম্যান সুফি মিয়া আমাদের সম্পত্তি বন্টন ও বিক্রয়ে নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।

 

পিতার সম্পত্তি বুঝে নিতে ২০১৪ সালের পর থেকে ৭ দফা লন্ডন থেকে দেশে আসলেও চেয়ারম্যানের বাধার কারনে সম্পত্তি বুঝে নিতে পারিনি। আমাদের সম্পত্তির অংশ পাচাঁউন বাজারের একটি মার্কেট তিনি জোর করে দখল করে রেখেছেন।

 

সম্প্রতি তার কাছে একটি উত্তরাধিকার সনদের জন্য গেলে তিনি তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। উপরোন্ত নির্বাচনী খরচের জন্য আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। না দেয়ায় এই সুফি বাহিনী আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

 

এনিয়ে গত ২২ এপ্রিল শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

এ ব্যাপারে ১নং মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যন সুফি মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল নূর আমার মামাত ভাই। তিনি প্রশ্ন করেন, তার পিতার সম্পত্তি বন্টন বা বিক্রি করবেন তাতে আমি বাধা দেব কিভাবে? এসব কি আমার বাবার সম্পত্তি?

 

তিনি বলেন, তার কাছে কোন চাঁদা দাবি করলে স্বাক্ষি প্রমান নিয়ে প্রশাসনের কাছে গেলে বিচার পাবেন। সংবাদ সম্মেলন করার প্রয়োজন হবে না। আব্দুল নূর তার ৮জন সৎ ভাই বোনদের বাদ দিয়ে উত্তোরাধিকার সনদের আবেদন করায় তা দেয়া হয়নি। পরবর্তিতে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করায় সনদ দেয়া হয় বলে তিনি জানান।

 

৭ মে ২০২১
নিউজ ডেস্ক

আরো পড়ুন

সিলেটে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন শত শত মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম দরিদ্র মানুষ সিলেটেঃ গবেষণা

সিলেটবাসীর নতুন ভোগান্তি লোডশেডিং