4 C
London
January 22, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশসিলেট

সিলেটের টেংরা টিলার মাটির নিচে সম্পদের ভান্ডার

সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র যা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৯ সনে সর্বপ্রথম দেশের শিল্পখাতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয় এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে।

গ্যাসক্ষেত্রটি দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে অঘোষিত পরিত্যক্ত অবস্থায় অবহেলা অযত্নে পড়ে থাকায় গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও মালামাল বিনষ্ট হচ্ছে। পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়া হলে এই খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ৩২ লাখ কোটি ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ছাতকের টেংরাটিলা গ্যাস ক্ষেত্রে পড়ে আছে ১ লাখ কোটি ঘনফুট গ্যাস।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ১৯৫৫ সালে আবিষ্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটি দেশ স্বাধীনের পর সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের হাতে ন্যস্ত হয়। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস এই কূপ থেকে উত্তোলন হয়। পরে ১৯৮৬ সালে এই কূপটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, এই গ্যাস ক্ষেত্রে এখন অনেক গ্যাস মজুত আছে। মজুত গ্যাস উত্তোলনে আগ্রহী সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি।

এদিকে ১৮ বছর ধরে গ্যাস জ্বলছে টেংরাটিলার ঘরে ঘরে। বিনামূল্যের এই গ্যাসপ্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়েছে বিদেশি কোম্পানি নাইকো। ২০০৩ সালে সরকার গ্যাস উত্তোলনের জন্য কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকো ও বাপেক্সকে টেংরাটিলা কূপ খননের অনুমতি দেয়।

নাইকো খননকাজ শুরু করলে তাদের অদক্ষতায় ২০০৫ সালের জানুয়ারি ও জুন মাসে পরপর দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে টেংরাটিলাসহ আশপাশের ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের পরিবেশ ও প্রতিবেশ।

এম.কে
২০ জানুয়ারি ২০২৪

আরো পড়ুন

করোনা রোগীদের সেবা করবে রোবট ‘ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম’

অনলাইন ডেস্ক

লন্ডন ছেড়ে সিলেটে আরও ১৬৮ প্রবাসী

অন্তর্বর্তী সরকারকে সুখবর চীন ও কানাডার