TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

সিলেটে এমপির গাড়িতে হামলা, পাশেই ছিল দর্শক পুলিশ

এই গাড়িতেই উপজেলা পরিষদে যান সাংসদ মোতাব্বির। ঘটনার আগে তোলা ছবি। ছবি: সংগৃহীত

নিজ নির্বাচনী এলাকাতেই হামলা শিকার হয়েছেন গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের সাংসদ মোকাব্বির খান। তার গাড়িতে ঢিল ছুড়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার অনুসারীরা বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরের দিকে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সামনে সাংসদের গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী টিভিথ্রিকে জানান, আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন,
ইতা খমতার খেলা, খার শক্তি বেশী ওতা দেখানিত গিয়াই গটনা গটছে

জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সাংসদ মোকাব্বির খান ওসমানীনগর থেকে তার গাড়ি দিয়ে বিশ্বনাথ যান। উপজেলা ফটকের সামনে তখন পুলিশ মোতায়েন ছিল। ফটকের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়াকে ঘিরে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা ছিলেন। সাংসদের গাড়ি যখন ফটক অতিক্রম করে উপজেলা পরিষদে ঢুকছিল, তখন শোরগোল দেখা দেয়।

 এ সময় হঠাৎ সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটের টুকরা দিয়ে দুজন দুটি ঢিল ছোড়েন। একটি ঢিল গাড়ির সামনে লেগে গ্লাস ভেঙে যায়। এরপর সাংসদের গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে উপজেলা পরিষদের ভেতর ঢোকে।

এদিকে সাংসদ মোকাব্বির খানের ভাষ্যমতে, পুলিশের পাশেই নাকি এ ঘটনা ঘটেছে। অথচ হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ কোনোই পদক্ষেপ নেয়নি।

সাংসদ মোকাব্বির খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন, আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদে না যাওয়ার জন্য অনেক হুমকি এসেছিল। জনগণের সেবা করার জন্য এলাকাবাসী আমাকে ভোটে নির্বাচিত করেছেন। তখনই নিজের জীবনের মায়া ছেড়ে আমি সংসদে গিয়েছি। আর এখন আমার ওপর সন্ত্রাসী হামলা হবে, তা-ও আবার এই আগস্ট মাসে, সেটা আমি কখনো ভাবিনি, এই নিয়ে ভয়ও করি না। 

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে সাংসদ মোকাব্বির খান বলেন, গাড়িতে ঢিল ছোড়ার পর আমি সেখানে কিছু বলিনি। কিন্তু আমি আশ্চর্য হয়েছি যে যখন দুজন লোক ঢিল ছুড়ছিল, পুলিশ পাশেই ছিল কিন্তু সন্ত্রাসীদের  ধরতে পদক্ষেপ নেয়নি।

তবে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, এমপির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। কে বা কারা এই অপ্রপচার করছে। ঘটনাটি শুনে আমি নিজেও নিন্দা জানিয়েছি।

বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সেখানে ছিল বলে বড় রকমের কোনো অঘটন ঘটেনি। হামলার চেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি সাংসদের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ামাত্র মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।

১১ আগস্ট ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধি (সিলেট ডিভিশন)
এমকেসি/এনএইচটি

আরো পড়ুন

কোন ‘স্ট্যাটাসে’ ভারতে রাখা হয়েছে শেখ হাসিনাকে

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সোশ্যাল মিডিয়ায় পুতুলের পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য