সিলেট নগরের কেন্দ্রে জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্তকে জনস্বার্থ বিরোধী বলছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা মোড় পর্যন্ত সড়কটি একমুখী (ওয়ানওয়ে) যান চলাচল থাকলেও সম্প্রতি সড়ক বিভাজক স্থাপন করে দ্বিমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সড়ক বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এখনো চলছে।
জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার সড়ক এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসহ সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে। এ ছাড়া নগরের প্রধান প্রধান বিপণিবিতানগুলোও জিন্দাবাজারসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থিত। পুরো এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
এসব উন্নয়ন কার্যক্রম শেষে পুরো এলাকাকে নগরীর একটি আদর্শ এলাকায় রূপান্তর করার পরিকল্পনায় যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে।
ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাসদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জনস্বার্থ বিরোধী । করোনায় শ্রমজীবীরা কঠিন সময় পার করছেন। রিকশা-ভ্যান চালিয়ে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করে শ্রমজীবীদের একটি অংশ। এসব যান বন্ধ হলে শ্রমিকদের আয়-রোজগার কমে যাবে। এই শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাবেন, যা অমানবিক।
রিকশা চলাচল বন্ধ হলে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তির মুখে পড়বেন বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে আরো বলা হয়, জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন রিকশা। ফলে ভোগান্তিতে পড়বেন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে এসব এলাকার ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১৯ ডিসেম্বর ২০২০
এমকেসি/এসএফ