বিশেষ প্রতিনিধি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইতিহাস ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে সিলেটের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। এর জন্য আরো বেশি গবেষণা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রয়োজন।
গত ১৯ আগস্ট বিকেলে সিলেট সিটি করোপরেশনের সম্মেলন কক্ষে সিলেটের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা ‘আগামীর সিলেট’ নামক প্রকল্প’র উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সিলেট নগরীর পরিধি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তার অভিমত মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এই নগরীকে অন্তত ৮ গুণ বড় করা দরকার ছিল। কিন্তু নগর বর্ধিকরণের প্রথম ধাপে মাত্র দ্বিগুণ করা হয়েছে। একে একটি বিপর্যয় (ডিজাস্টার) বলে মন্তব্য করেন পররাষ্টমন্ত্রী।
এসময় সিলেট নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির সাথে সাথে ভরাট হয়ে যাওয়া সুরমা নদী খনন ও নদী পাড় সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি সিলেট নগর উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে নগরীর মাঝ দিয়ে বয়ে চলা সুরমা নদী সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধন, হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) মাজার কমপ্লেক্স, সিলেটের পুরাতন জেল ও ধোপাদীঘি পুনঃসংস্কার ও রূপান্তর, সুরমা রিভার ব্যাংক কনভেনশন সেন্টারসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চত্বরের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়ন, গণপরিবহন পরিকল্পনা, জলাশয় সংরক্ষণ ও পায়ে হাঁটা রাস্তা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেট শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ইতিমধ্যে কাজ চলছে। তাছাড়া সকলের সাহায্য সহযোগিতা পেলে সিলেট একটি আদর্শ সিটির উদাহরণ হবে।
১৯ আগস্ট ২০
এমকেসি/এনএইচটি