15.9 C
London
April 29, 2024
TV3 BANGLA
ইউরোপ

স্পেনে মৌসুমী কর্মী ভিসার জন্য যেভাবে আবেদন করতে হবে

মৌসুমী কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের প্রতিটি দেশের আছে নিজস্ব নীতিমালা। ইউরোপের দেশগুলোতে মূলত কৃষিখাতেই মৌসুমী কর্মীর প্রয়োজন হয় সবচেয়ে বেশি।

মৌসুমী কর্মীদের জন্য বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ভিসা ইস্যু করা হয়। এই ভিসা নিয়ে যারা আসেন তাদেরকে সাধারণত অন্য কাজ করতে দেয়া হয় না। কাজ শুরুর আগে আগে তাদের ইউরোপে প্রবেশ করতে দেয়া হয় এবং কাজ শেষে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।

স্পেনে যদি সাধারণ কাজের চুক্তি থাকে তাহলে ৯০ দিনের ভিসা দেয়া হয়৷ স্পেনে পৌঁছে কাজ শুরু করার আগে দেশটির সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হতে হবে৷ সামাজিক নিরাপত্তায় নিবন্ধিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে বিদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচয়পত্র পেতে ফরেইন ন্যাশনাল অফিসে অথবা নির্ধারিত থানায় আবেদন করতে হবে৷

চুক্তি যদি মৌসুমী কাজের জন্য হয়, তাহলে চুক্তির সময়সীমা অনুযায়ী ভিসা দেয়া হয়৷ সেক্ষেত্রে বিদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচয়পত্র আর নিতে হয় না৷ মৌসুমী কাজ সাধারণত বছরে নয় মাস মেয়াদের হয়৷

চাকরিদাতাকে প্রমাণ করতে হবে কর্মীদের সব আইনি চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার রয়েছে৷
স্পেনে মৌসুমি কাজের বেশিরভাগই কৃষি৷ কর্মসংস্থান ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিবাসী শ্রমিকদের শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেও কাজ করার অনুমতি দেয়৷

স্প্যানিশ সরকারের ‘সার্কুলার মাইগ্রেশন’ নামে একটি প্রকল্প আছে৷ এর আওতায় অস্থায়ী এবং মৌসুমী কর্মীদের স্পেনে আনতে বেশ কিছু দেশের সঙ্গে তাদের চুক্তিও আছে৷ যা সংক্ষেপে ‘টিসিএলএম’ নামে পরিচিত৷
দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মরক্কো, সেনেগাল, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ইকুয়েডর এবং কলম্বিয়া৷

মৌসুমি কাজের ভিসার ক্ষেত্রে নিজ দেশ থেকে স্পেনে যাওয়া আসার যাতায়াত ভাড়া নিয়োগকর্তা অথবা কর্মীকে বহন করতে হয়৷ চুক্তি শেষে নিজ দেশে ফিরে যাবেন বলে প্রতিজ্ঞা করতে হয় কর্মীদের৷ স্পেনে থাকা এবং চলার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সঙ্গতি আছে তার প্রমাণ দেয়া জরুরি৷

যদি সিজনাল কর্মী ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের কোনো দেশের নাগরিক হন এবং স্পেনে ৯০ দিনের বেশি থাকতে চান তাহলে সেই ব্যক্তির রেসিডেন্সি ভিসার প্রয়োজন হবে৷ যদি কোনো ব্যক্তি ৯০ দিনের কম সময় স্পেনে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন তাহলে শুধু ওয়ার্ক ভিসা হলেই চলবে৷

সিজনাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ফর্মটি ইংরেজি বা স্প্যানিশ ভাষায় পূরণ করতে হয়। তাছাড়া পাসপোর্টে অন্তত এক বছরের মেয়াদ থাকতে হবে এবং খালি রাখতে হবে দুটি পৃষ্ঠা৷ সিজনাল কর্মীর বাসস্থান এবং কাজের চুক্তির মূলকপি এবং ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে৷ কাজের চুক্তির এক মাসের মধ্যেই ভিসার আবেদন জমা দিতে হবে৷

গত পাঁচ বছর ধরে সিজনাল কর্মী যে দেশে আছেন সেই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে৷ যা ছয় মাসের বেশি পুরানো হতে পারবে না৷ নিবন্ধিত চিকিৎসকের দেয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট লাগবে৷ তা ভিসা আবেদনের তারিখের চেয়ে এক মাসের বেশি পুরাতন হতে পারবে না৷

কাজের কিংবা রেসিডেন্স ভিসার আবেদন করার আগে, অবশ্যই নিয়োগকর্তার কাছে প্রোভিনশিয়াল অ্যালিয়েনস অ্যাফেয়ার অফিসের কিংবা স্পেনের শ্রম শাখার নিয়ন্ত্রাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে৷

সিজনাল কর্মী যদি রেসিডেন্সি বা কাজের চুক্তি নবায়ন করতে চান, তাহলে বর্তমান ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগে আবেদন করতে হবে বলে সূত্রমতে জানা যায়।

সূত্রঃ ইনফোমাইগ্রেন্টস

এম.কে
০৭ এপ্রিল ২০২৪

আরো পড়ুন

করোনায় বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য ১০৩১ কোটি টাকার সহায়তা দেবে ইইউ

অনলাইন ডেস্ক

তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন

অভিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ আছে ইউরোপের এই দেশে