যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক গাজায় হামাসের হামলা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তারমতে যুক্তরাজ্য উগ্র ব্যবহারকে সবসময় বিরোধিতা করে। তাই নতুন আইনের আওতায়, যারা হামাসকে সমর্থন করে শ্লোগান দিবে রাস্তায় তাদের ভ্রমণ,স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক ভিসা ক্যান্সেল করে যুক্তরাজ্য হতে বের করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্য সরকারের এই মন্ত্রী।
জেনরিক জানান, কিছু লোককে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে।তারা হামাসের নামে শ্লোগান দিয়েছে যুক্তরাজ্যের রাস্তায়। হেইট ক্রাইম ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তাই বিদেশি পর্যটকদের ভিসা রিভোক করতে প্রয়োজনে দ্বিধা করবে না সরকার।
তবে টাইমস রেডিওতে ইমিগ্রেশন মন্ত্রীর সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোনো বিক্ষোভ মিছিলে ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শনকারীদেরও কি ভিসা বাতিল হতে পারে কিনা। জেনরিক উত্তরে বলেন, “যুক্তরাজ্য বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং হামাস একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এটাও মনে রাখা উচিত। তবে আমি মনে করি যুক্তরাজ্যে যারা দর্শনার্থী হিসাবে রয়েছেন তাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার অধিকার নেই। এই ধরনের কার্যকলাপে দেশের শান্তি বিনষ্ট হয়। তাছাড়া রাস্তায় হামাসের পক্ষে শ্লোগান একটি ফৌজদারি অপরাধ।
ইমিগ্রেশন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিকের মতে, “যে লোকেরা ব্রিটিশ নাগরিক নয় কেবল আমাদের দেশের দর্শনার্থী,শিক্ষার্থী কিংবা কাজের ভিসায় এসেছেন তারা এখানে থাকার সুযোগগুলি উপভোগ করছেন। আমি ভয় করি এইসব লোকেরা রাস্তায় নেমে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করলে কিংবা সন্ত্রাসী সংগঠনের পক্ষে শ্লোগান ধরলে আইনানুযায়ী তাদের ভিসা বাতিল হয়ে যাবে এবং তাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।”
উল্লেখ্য মঙ্গলবার জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেসে জানিয়েছেন, হামাসের ৭ অক্টোবর হামলাগুলি “ভয়ঙ্কর” ছিল তবে তিনি যোগ করেছেন “ফিলিস্তিনিদের জনগণকে ৫৬ বছরের বেশি সময় ধরে দমবন্ধ করে রাখা হয়েছিল বলেই এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে”।
এম.কে
২৫ অক্টোবর ২০২৩