ইয়েমেনের হুথিরা লোহিত সাগরে ‘টিউটর’ নামের একটি দ্বিতীয় ব্রিটিশ জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) এর তরফে জানানো হয়েছে, লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা তাদের দ্বিতীয় জাহাজটি ডুবিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা।
কয়েক দিন আগে ওই জাহাজটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হুথি যোদ্ধারা। এতে জাহাজের এক ক্রু নিহত হয়েছিলেন। এ ডুবে যাওয়া জাহাজটি ছিল লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এবং এটি গ্রিক মালিকানাধীন। এ জাহাজটির নাম ছিল টিউটর। এহেন পরিস্থিতে উত্তেজনা আরো বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অঞ্চলের জাহাজ চলাচলবিষয়ক সতর্কবার্তায় যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স সেন্টার জানায়, লোহিত সাগরে দি টিউটর ডুবে গেছে। আরো জানানো হয়েছে যে, সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ধ্বংসস্তূপ এবং তেল ভাসতে দেখেছে। যার ফলে অনুমান করা হচ্ছে জাহাজটি ডুবে গেছে।
তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া বা বিবৃতি আসেনি হুথির পক্ষ থেকে। এক সপ্তাহ আগে টিউটর হামলার শিকার হয়েছিল এই জাহাজটি। লোহিত সাগরে হুথিদের বোমাবাহী ড্রোন হামলায় প্রায় ভেঙেচুরে গেছিল টিউটর নামের জাহাজটি।
যদিও সোমবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছিলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এক ক্রু সদস্য হামলার সময় টিউটরের ইঞ্জিন রুমে ছিলেন। তিনি এখন নিখোঁজ রয়েছেন। নিঁখোজ ক্রু ছিলেন ফিলিপাইনের নাগরিক।
ইরান-সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগর অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে। গত নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলির উপর হামলা চালাচ্ছে। প্রায় ৫০ টির ও বেশি হামলা চালিয়েছে তারা। যদিও মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন হুথিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে গেলও হুথিদের হামলা বন্ধ করতে পারে নি তারা। হুথিদের দাবি একটাই যতক্ষণ না পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই হামলা বন্ধ রাখবে না।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, হুথিদের হামলার ফলে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল ৯০ ভাগ কমে গেছে। অথচ, এই করিডোর দিয়ে বিশ্বের ১৫ ভাগ সামুদ্রিক পণ্য সরবরাহ করা হতো। এখন সেটাও সম্ভব হচ্ছে না হুথিদের আক্রমণের কারণে।
সূত্রঃ বিবিসি ও এপি
এম.কে
২০ জুন ২০২৪