ভারতে প্রবেশে ৭ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনের যে নিয়ম ছিল, সেটা শিথিল হয়েছে। বিদেশ থেকে কেউ দেশটিতে গেলে পরবর্তী ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।
ভারত সরকারের নতুন এ নিয়ম বাংলাদেশের ভ্রমণকারীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কেউ বিদেশ থেকে ভারত গেলে ১৪ দিন সেল্ফ মনিটরে (ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ) থাকতে হবে। এর মধ্যে কোনো ভ্রমণকারীর করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাকে সেল্ফ আইসোলেশন যেতে হবে। একইসঙ্গে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অবহিত করতে হবে।
‘সুবিধা অ্যাপ’-এ ফরম পূরণ
ভারতে যেতে হলে ‘সুবিধা অ্যাপ’-এ একটি ফরম পূরণ করতে হবে। সেখানে টিকা নেওয়ার বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। ভারতে যাওয়ার আগে ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড পিসিআর টেস্ট করতে হবে। দুই ডোজ টিকাও নেওয়া থাকতে হবে।
নতুন নির্দেশনা অনুসারে, সব বিদেশি ভ্রমণকারীকে অবশ্যই আগের ১৪ দিনের ভ্রমণ বৃত্তান্তসহ ব্যক্তিগত তথ্যের একটি ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি ভারতের ‘এয়ার সুবিধা’ ওয়েব পোর্টালে পাওয়া যাবে।
কারও শরীরে উপসর্গ দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হবে এবং করোনা পরীক্ষা করা হবে। পজিটিভ শনাক্ত হলে তার সংস্পর্শে আসা লোকদেরও খুঁজে বের করা হবে।
১৪ দিন সতর্ক থাকতে হবে
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের বাড়তি থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তাদের মধ্যে এলোমেলোভাবে নির্বাচিত ২ শতাংশ যাত্রীর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। কোনো উপসর্গ দেখা যায় কিনা তার জন্য সব যাত্রীকে ১৪ দিন সতর্ক থাকতে হবে।
সমুদ্র বা স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রবেশকারী বিদেশিদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধনের সুবিধা আপাতত নেই। এ কারণে বন্দরে থাকা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে এসব তথ্য জমা দিতে হবে।
করোনা পরীক্ষায় ছাড় শিশুদের
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের পৌঁছানোর আগে বা পরে সব ধরনের পরীক্ষা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যবেক্ষণে থাকাকালীন তাদের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২৮ নভেম্বর ওমিক্রন সংক্রমণের মুখে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে ভারত সরকার। এসব দেশ থেকে যাওয়া ভ্রমণকারী বা ট্রানজিটগ্রহীতাদের ভারতে পৌঁছানোর পরপরই আরটি-পিসিআর টেস্ট করানো এবং এর ফলাফল আসা পর্যন্ত বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার নিয়ম চালু করেছিল ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নিউজ ডেস্ক