প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের সঙ্গে যা হয়েছে তার জন্য পুরো রাজপরিবার ব্যথিত বলে জানিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। একই সঙ্গে হ্যারি ও রাজবধূ মেগান মার্কেলের বর্ণবৈষম্যের অভিযোগকে বেশ গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। ইস্যুটি নিয়ে হ্যারি ও মেগানকে রাজপ্রাসাদে ডাকা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
রোববার (৭ মার্চ) মার্কিন টকশো উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর বিশ্বজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়। রাজপরিবার নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সাক্ষাৎকারের দুদিন পর এবার বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, হ্যারি ও মেগান বর্ণবৈষম্যের যে অভিযোগ তুলেছেন তা বেশ গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন রানি এলিজাবেথ। হ্যারি মেগান দম্পতি গত কয়েক বছর যে চালেঞ্জিং সময় পার করেছেন তার জন্য রাজপরিবারের প্রতিটি সদস্য ব্যথিত বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
এমনকি হ্যারি, মেগান ও তাদের সন্তান আর্চি, সবসময় রাজপরিবারের ভালোবাসা পাবে জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে তাদেরকে বাকিংহাম প্যালেসে ডাকা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
অপরাহ’র ওই সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ আনেন হ্যারি ও মেগান। সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি দাবি করেন, রাজপরিবার ছেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বর্ণবিদ্বেষ। পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই স্ত্রী মেগানের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতেন বলে জানান তিনি।
এমনকি তাদের সন্তানকে নিয়েও অনেক বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাকে। আর সাক্ষাৎকারে মেগান মার্কেল দাবি করেন, বর্ণ-বৈষম্যের কারণেই তাদের সন্তান আর্চির রাজকীয় স্বীকৃতি কেড়ে নেয়া হয়।
সূত্র: রয়টার্স
১০ মার্চ ২০২১