5.9 C
London
December 29, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

৪০ বছরের সবচেয়ে বড় আশ্রয় সংস্কারঃ যুক্তরাজ্যে প্রত্যাখ্যাত পরিবারদের জন্য নতুন কঠোর নীতি

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ব্যবস্থায় চার দশকের সবচেয়ে বড় সংস্কারের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সরকার। হোম সেক্রেটারি শবানা মাহমুদ সোমবার প্রকাশিত নীতিপত্রে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, যেসব পরিবারের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকার এখন পর্যন্ত “প্রয়োজনীয় কঠোরতা” দেখাতে পারেনি।

নীতিপত্র অনুযায়ী, বর্তমানে বহু প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থী পরিবার বছরের পর বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছে এবং বিনামূল্যে আবাসন ও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে সরকার প্রথম ধাপে প্রত্যাখ্যাত পরিবারগুলোকে নিজ দেশে ফেরত যেতে আর্থিক সহায়তা দেবে। কিন্তু তারা সহায়তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে ‘এনফোর্সড রিটার্ন’ বা জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

সরকার জানিয়েছে, শিগগিরই একটি আনুষ্ঠানিক পরামর্শ–প্রক্রিয়া শুরু করা হবে যেখানে সন্তানসহ পরিবার ফেরত পাঠানোর বাস্তবায়ন কাঠামো নিয়ে মতামত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকার ২০১৬ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের সেই ধারাগুলো চালুর বিষয়ও বিবেচনা করছে, যা দেশে ফিরে যাওয়ার প্রকৃত বাধা না থাকা পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার সুযোগ দেয়।

শবানা মাহমুদের ভাষ্য অনুযায়ী, দাবি প্রত্যাখ্যাত হলে সরকার আগের তুলনায় “আরও কঠোর ও বাস্তববাদী” অবস্থান নেবে এবং এমন পরিবারগুলোকেও ফেরত পাঠানো হবে যাদের নিরাপদ নিজ দেশ রয়েছে কিন্তু এতদিন পাঠানো হয়নি। এটি স্টার্মার সরকারের আশ্রয়নীতি কঠোর করার সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকারের আরও লক্ষ্য আশ্রয়প্রার্থীদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে উৎসাহিত করা। বর্তমানে প্রত্যাখ্যাত আবেদনকারীরা যুক্তরাজ্য ত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ £৩,০০০ পায়। নীতিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যক্তিগত পরিস্থিতি অনুযায়ী পুরো প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে আর্থিক প্যাকেজ প্রদান অব্যাহত থাকবে এবং বাড়তি প্রণোদনার পরীক্ষামূলক প্রয়োগও হবে। সহযোগিতা না করলে শেষ পর্যন্ত জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হবে।

এমন সিদ্ধান্তে শরণার্থী অধিকার সংস্থাগুলো এবং লেবার পার্টির একটি অংশ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলছে, শিশু–সম্বলিত পরিবার থেকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা মানবিক সংকট তৈরি করতে পারে। তবে সরকার বলছে, ব্যয়–সংকট মোকাবিলা ও আশ্রয়ব্যবস্থা শৃঙ্খলিত করতেই এই পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে

আরো পড়ুন

ফ্রান্স সীমান্তে যুক্তরাজ্যের নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ

যুক্তরাজ্যে সময়মতো কর না দিলে £১,৬০০ পর্যন্ত জরিমানা ও সুদের বোঝাঃ এইচএমআরসি’র সতর্কবার্তা

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক