TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

৫ বছরে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের যতো অর্জন ও ব্যর্থতা

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আরো এক বছর আগেই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেটি পিছিয়ে চলতি বছরের ৬ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে বর্তমান মেয়র সাদিক খান ছাড়াও বাকি প্রধান তিনটি দল কনজারভেটিভ পার্টির শাউন বেইলি, লিবারেল ডেমোক্রেটের লুইসা পোরিট, গ্রিন পার্টির সেইন বেরী মেয়র পদের জন্য লড়াই করছেন।

 

ব্রিটিশ গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবারের নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সাদিক খানকে। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে না পারা এবং করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

তার পরেও সাদিক খানের পাঁচ বছরে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। যেগুলোর প্রভাব রাজধানীর জীবনযাত্রার উন্নতির ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল সময় ধরে থাকবে।

 

পরিবেশ

সাদিক খানের সাফল্যের সবচেয়ে বড় উদাহরণ ২০১৯ সালের এপ্রিলে লন্ডনে আল্ট্রা লো অ্যামিশন জোন এর প্রবর্তন। আল্ট্রা লো অ্যামিশন জোনে দূষণকারী যানবাহন চালকদের প্রতিদিন ১২.৫০ পাউন্ড ফি দিতে বাধ্য করা হয়। তিনি যানজট নিরসনে বিভিন্ন সড়কে বিভাজক তৈরি করেছেন যার ফলে সাইক্লিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া মিঃ খান ১০ হাজার গাছ রোপণ করে পরিবেশবাদীদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তাই মেয়র যুক্তিসঙ্গতভাবে লন্ডনের বায়ু মানের উন্নতি এবং লন্ডনবাসীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিসরূপ বিষাক্ত গাসের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য পূর্ণ ক্রেডিট দাবি করতে পারবেন।

 

আবাসন

গ্রেড লন্ডন কর্তৃপক্ষের সমর্থিত কাউন্সিল আবাসনের জন্য লন্ডনে গত বছর ৩ হাজারেরো বেশি সাশ্রয়ী মূল্যের নতুন বাড়ি নির্মিত হয়েছে। আবাসন ক্ষেত্রে এটি সাদিক খানের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করছে তার সমর্থকরা। টরি সমালোচকরা দাবি করেন, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের বিষয়ে সাদিক খান যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার চেয়ে অনেক কম। সাদিক খানের সহযোগীরা এই পরিসংখ্যানকে ভুল বলে দাবি করেছে। তবে সাদিক খান যদি জিতেন, তবে আবাসন নিয়ে আরো ভাল করার জন্য তার উপর চাপ থাকবে।

 

অপরাধ

 

লন্ডনে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিসের রেকর্ড দেখা যায়, সাদিক খানের ৫ বছরে লন্ডনে হত্যাসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। মেয়রের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদে বিষয় হল এই সংখ্যা বরিস জনসন যখন অফিস ছেড়েছিলেন তখন তার চেয়ে অনেক বেশি। শুধুমাত্র এই বছরে ১২ জন কিশোর-কিশোরীর ছুরির হামলায় নিহিত হয়েছে। সাদিক খান বারবার এসব সমস্যার জন্য পুলিশ এবং যুবসমাজের উন্নয়নের জন্য সরকারী তহবিল কমানোকে দোষ দিয়েছেন।

 

পরিবহন

 

লন্ডন জুড়ে দিনে হাজার হাজার যাত্রী বহন করার জন্য নির্মিত দর্শনীয় নতুন ক্রসরেইল স্টেশনগুলো সাদিক খানের মেয়রতন্ত্রের অন্যতম প্রতীক হওয়া উচিত ছিল। তবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে খোলার কথা থাকলেও তা এখনো খোলা হয়নি। সময়মতো না খোলার এই বিষয়টি কার্যকরভাবে সিটি হল প্রশাসন পরিচালনা করতে তার অক্ষমতার একটি মূল চিত্র বলে মনে করছেন সমালোচকরা। কোভিডের প্রভাব পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে এবং সামগ্রিক ব্যয় আরো ৪ বিলিয়ন পাউন্ড বেড়েছে।

 

সূত্র: ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ড
৬ মে ২০২১
এসএফ

আরো পড়ুন

পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম হত্যায় সাবেক সহকারী দোষী সাব্যস্ত

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ২৭০০ কোটি টাকার ‌‘সাম্রাজ্য’

রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক